দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-লোকসভা ভোটের আগেই দেশে চালু হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। চালু রয়েছে সেই সংক্রান্ত পোর্টাল। তবে নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়ে দোলাচল রয়েছে উদ্বাস্তুদের মনে। এই আবহে নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেলেন নদিয়ার ভীমপুর থানার আসাননগরের বাসিন্দা বিকাশ মণ্ডল ও তাঁর পরিবার। ভারতের নাগরিক হতে পেরে স্বাভাবিক ভাবেই খুশির জোয়ারে ভাসছে এই পরিবার।গত ১৭ মে অনলাইনে আবেদন করেন বিকাশ মণ্ডল। তারপরে, ২৭ মে তাকে কৃষ্ণনগর পোস্টাল সুপারিনটেনডেন্ট অফিসে ভেরিফিকেশনের জন্য ডাকা হয়। সকল নথি জমা দেওয়ার পর, আজ বৃহস্পতিবার তিনি ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়েছেন। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দফতরের তরফে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সিএএ সংক্রান্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি বুধবার থেকে সিএএ আইন অনুযায়ী নাগরিকত্বের শংসাপত্র বিলির কাজ শুরু করেছে। উল্লেখযোগ্য যে, লোকসভা ভোটের চতুর্থ দফার পরে গত ১৫ মে প্রথমবার ৩০০ জন সিএএ আবেদনকারীকে শংসাপত্র দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয়কুমার ভাল্লা স্বয়ং দিল্লিতে ১৪ জন আবেদনকারীর হাতে ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র তুলে দেন।২০১২ সালে বাংলাদেশের ঝিনাইদহ থেকে বিকাশ তাঁর বাবা, মা, স্ত্রী, পুত্র-সহ চলে আসেন ভারতে। সেই থেকে উদ্বাস্তু হিসাবেই থাকছিলেন তাঁরা। এরই মধ্যে সংবাদমাধ্যম দেখে জানতে পারেন ২০১৪ সালের আগে বাংলাদেশ থেকে চলে আসা উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। তখনই সিদ্ধান্ত নেন আবেদন করবেন।সেই মতো এপ্রিল মাসের ২৯ তারিখ অনলাইনে আবেদন করেন তিনি। এক মাসের ব্যবধানে চলতি মে মাসের ২৭ তারিখ তাঁকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে তথ্য যাচাইয়ের জন্য ডাকা হয়। ২৯ তারিখ বুধবার শংসাপত্র পেয়ে যায় মণ্ডল পরিবার। শংসাপত্র হাতে নিয়ে বিকাশ মণ্ডল বলেন, “২০১২ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসি আমরা।উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে জানতে পেরে অনলাইন আবেদন করেছিলাম। বুধবার আমাকে মেইল করে আমাদের সবার নাগরিকত্বের শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। আমরা খুব খুশি। আর উদ্বাস্তু হয়ে থাকতে হবে না।” কেন চলে এলেন বাংলাদেশ থেকে? উত্তরে বলেন, “বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। ওই ভাবে কে থাকতে চায়! তাই চলে আসি ভারতে।”কী, কী প্রমাণপত্র দেখাতে হল বিকাশকে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের একটি সরকারি প্রমাণপত্র। ২০১৪ সালের আগের ভারত সরকারের এক প্রমাণপত্র। কোর্টের হলফনামা। ছবি। হিন্দু শংসাপত্র। যা আমরা মায়াপুরের এক সন্ন্যাসীর থেকে পেয়েছি।”