প্রসেনজিৎ ধর :-কাজের প্রলোভন দেখিয়ে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের এক নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই বালুরঘাট থানায় ওই তৃণমূল নেতার নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ অভিযোগ পেতেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ ৷ এদিকে নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগের বিষয় জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলাজুড়ে৷ বালুরঘাট থানার পুলিশের অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে গত পরশু রাত্রিবেলা। অভিযোগ, ওই তৃণমূল নেতা নাবালিকাকে কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছিলেন। এরপরই তাঁকে নিজের মোবাইলের দোকানের শৌচালয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে পুলিশে বিষয়টি জানানো হলে তৃণমূল নেতার মোবাইলের দোকানে তল্লাশি চালানো হয়। খতিয়ে দেখা হয় সিসিটিভির ফুটেজ। এমনকী নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে বালুরঘাট থানার পুলিশ। নাবালিকার বাড়ির সামনে ২৪ ঘণ্টার জন্য পাহাড়ায় রয়েছেন সিভিক ভলান্টিয়ার। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষার পর তাঁর গোপন জবানবন্দী নেওয়ার জন্য বালুরঘাট আদালতে পাঠানো হয়েছে।তবে অভিযুক্ত এই তৃণমূল নেতা একসময় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের প্রাক্তন জেলা সভাপতি ও সহ সভাপতির পদে ছিলেন। মাস দুয়েক আগে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মহিলা কর্মীদের মধ্যে গোলমাল বাধে। ওই ঘটনায় উঠে আসে অভিযোগ প্রভাব খাটানোর বিষয়। তার বিরুদ্ধে ওই হাসপাতালে অরাজকতার সৃষ্টির অভিযোগ ওঠে। এখানেই শেষ নয়,শহরের অবৈধ নির্মাণেও নাম জড়ায় তাঁর। এরপরেই তাকে শ্রমিক সংগঠনের সহ সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূল জেলা সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, “দলীয়ভাবে এখনও পর্যন্ত জানতে পারিনি। তবে থানার তরফে জেনেছি। যদি ঘটে থাকে তাহলে নিন্দনীয় ঘটনা। অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হবে।”জেলার পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal