দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- বাংলায় বিজেপি পেয়েছে মাত্র ১২টি আসন। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ২৯টি আসন। গোটা দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। শরিক ধরে এখন এনডিএ সরকার গড়ে উঠেছে। রবিবার রাতেই হয়েছে শপথগ্রহণ। এবার অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হতেই বিজেপি নেতা–কর্মীদের উপর আক্রমণ নেমে আসছে। তার জেরে নেতা–কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এই ঘটনা আবার শোনা যাওয়ায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় আক্রান্ত হচ্ছে বিজেপি কর্মীরা। এই অভিযোগ তুলে এবার নিরাপত্তার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী বিল্ব ভট্টাচার্য। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। মঙ্গলবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা।এবার লোকসভা নির্বাচনে তেমন বড় কোনও অশান্তি হয়নি। সপ্তম দফার ভোটপর্ব শেষে সে কথা জানান খোদ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তবে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর অশান্তির আশঙ্কা করেন। তাই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের মেয়াদও বাড়ানো হয়। বিজেপির দাবি, ভোট শেষের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। জখম হন বহু বিজেপি কর্মী-সমর্থক। গেরুয়া শিবিরের বেশ কয়েকজন ঘরছাড়া বলেও অভিযোগ। এই অভিযোগে এর আগেই বিচারপতি কৌশিক চন্দের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হয়। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করে আদালত।সেই সবের তোয়াক্কা না করে আবার হিংসা বেড়ে গিয়েছে বলে মামলা দায়ের করলেন শুভেন্দু অধিকারী। আইনজীবী মারফত এই মামলা দায়ের করা হচ্ছে। আগের জনস্বার্থ মামলায় বিচারপতি কৌশিক চন্দ তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘একাধিক সাংবাদমাধ্যমে ভোট পরবর্তী হিংসার ছবি দেখা যাচ্ছে।’ তাই বাংলায় অশান্তি, হিংসা রুখতে কেন্দ্র–রাজ্য সরকারকে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। পুলিশ কোনওভাবে যেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ না হয়, সেদিকে নজর দিতে বলা হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী হস্তক্ষেপ করতে পারবে বলে জানান বিচারপতি কৌশিক চন্দ। আর এবার নিরাপত্তার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।