প্রসেনজিৎ ধর :-সরকারি জমি জবরদখলের অভিযোগ নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সরকারি জমি জোর করে দখল করে নেওয়া ঠেকাতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করল রাজ্য সরকার। কমিটিতে রয়েছেন রাজ্য সরকারের শীর্ষ আমলারা। মনোজ পন্থ, প্রভাত মিশ্র, মনোজ ভার্মা, বিনীত গোয়েলদের নিয়ে ওই কমিটি সরকারি জমি দখল রুখতে পলিসি তৈরি করবেন বলে জানা যাচ্ছে।বৃহস্পতিবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে সরকারি জমি বেদখল হওয়ার প্রসঙ্গ ওঠে। নবান্নে জমা পড়া তথ্য অনুযায়ী, কলকাতা, শিলিগুড়ি,আসানসোল, হলদিয়া পুর এলাকা ছাড়াও একাধিক জায়গায় প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত জমি বেদখল হচ্ছে। এতে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সরাসরি তিনি আমলাদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, কীভাবে সরকারি জমি বেহাত হচ্ছে? খোঁজ রাখা হচ্ছে না কেন? পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও বৈঠকে ছিলেন। তাঁকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, পুলিশ কেন বিষয়টি দেখছে না? মমতার ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় সিপি বিনীত গোয়েলকে। কোন দফতরের কত পরিমাণ জমি রয়েছে, তার বিস্তারিত তালিকা বানানোর নির্দেশ দেন। তাঁর নির্দেশ পেয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও এদিন জানিয়েছেন, কিছু জায়গায় জলাশয় দখল হয়ে অবৈধ নির্মাণ গজিয়ে উঠছে। পুরনিগম খবর পেলেই সেগুলি ভেঙে দিচ্ছে। এই জমিগুলি আসলে পরিবেশ মন্ত্রকের অধীনে। তাদের নিজেদের একটি টিম থাকা দরকার। কলকাতা পুরনিগমের বাইরেও শহর-লাগোয়া কিছু জায়গাতেও জলাজমি দখল হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনকে ও পুলিশকে এটা দায়িত্ব নিয়ে দেখতে হবে। তবে কেএমডিএ-র যা জমি দখল হয়েছিল বলে অভিযোগ, সেগুলি প্রায় পুরোটাই পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ।শুক্রবারই উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয় নবান্নের তরফে। তাতে রয়েছেন একাধিক দফতরের শীর্ষ আমলারা। রয়েছেন পুলিশ কমিশনার নিজেও। এই কমিটির কাজ নিয়েও নির্দেশাবলি দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পুলিশের সাহায্যে যে কোনও জমি দখল রুখতে হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের দেওয়া তথ্যও খতিয়ে দেখতে হবে। কোথাও কোনওরকম জমি দখলের অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গেই পদক্ষেপ নিতে হবে পুলিশকে।