প্রসেনজিৎ ধর :- বিধানসভায় পাস হল নিট বিরোধী প্রস্তাব। বিজেপির বিধায়করা প্রবল আপত্তি করলেও তা ধোপে টেকেনি। যা নিয়ে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। এই প্রস্তাবের পক্ষে বলতে উঠে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকায় প্রশ্নফাঁস হয়েছিল বলে জানতে পারছি। দেশের ২৪ লক্ষ ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ নষ্ট করা হচ্ছে। এই পরীক্ষা আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক। আমরা স্বচ্ছভাবে নিতে পারব।”বুধবার নিট ইস্যুতে এই প্রস্তাবে তৃণমূলের তরফে বক্তা ছিলেন ব্রাত্য বসু, রফিকুর রহমান, মহম্মদ আলি, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়রা। বিজেপির তরফে ছিলেন শঙ্কর ঘোষ, অশোক লাহিড়ি, নীলাদ্রিশেখর দানা, অরূপ দাস, বিশ্বনাথ কারক ও দীপক বর্মণ। আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকিও ছিলেন বক্তার তালিকায়।নিট ইস্যুতে বিধানসভায় বক্তৃতার সময় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য দাবি তোলেন যাতে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির বদলে রাজ্যের হাতে আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয় ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা। উল্লেখ্য, ২০১৩ সাল থেকে ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় সর্বভারতীয় স্তরে নিট চালু হয়েছিল। বাংলার ক্ষেত্রে তার আগে পর্যন্ত ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা নিত জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। ব্রাত্য চাইছেন, জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডই আবার ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা নিক।বুধবার বিধানসভায় ব্রাত্য জানান, ২০১৩ সালে যখন প্রথম নিট পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল, তখন পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি গুজরাটও সেটির বিরোধিতা করেছিল। সেই সময় যে নরেন্দ্র মোদীই গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সে কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা শঙ্কর ঘোষ আবার পাল্টা বাংলায় শিক্ষাক্ষেত্রে একাধিক বেনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের কথা তুলে ধরেন বিধানসভায়।সংবাদমাধ্যমকে ব্রাত্য বলেন, “নিট পরীক্ষা নিয়ে যে পরিমাণ অভিযোগ, অস্বচ্ছতা ও দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে, তাতে গোটা দেশ আলোড়িত হয়েছে। এটি একটি ভয়াবহ ঘটনা। এটাই বিধানসভায় মূল আলোচ্য বিষয় ছিল।”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal