প্রসেনজিৎ ধর:- নীতি আয়োগের বৈঠকে তাঁর মাইক্রোফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী যে অভিযোগ করেছেন তা বিভ্রান্তিকর ও অসত্য। কেন্দ্রের তরফে এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এমনই দাবি করল প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো। এবিষয়ে মুখ খুলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনও মমতার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ তুলেছে।পিআইবির তরফে এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের ওপর ‘বিভ্রান্তিকর’ লিখে স্টাম্প মেরে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে লেখা হয়েছে, ‘নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিলের ৯ম বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাইক্রোফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। পিআইবি এই দাবির সত্যতা খতিয়ে দেখেছে। ১. এই দাবি বিভ্রান্তিকর। ২. ঘড়িতে দেখানো হয়েছিল যে তাঁর জন্য নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। তার পরও তাঁকে থামাতে কোনও বেল বাজানো হয়নি।’নির্মলা সীতারমণও বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আয়োগের বৈঠকে এসেছিলেন৷ আমরা সবাই তাঁর বক্তব্য শুনেছি৷ প্রত্যেক মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁদের জন্য বরাদ্দ সময় দেওয়া হয় এবং তাঁদের টেবিলের সঙ্গে থাকা স্ক্রিনে সেই সময় ফুটেও উঠছিল৷ সংবাদমাধ্যমে উনি অভিযোগ করেছেন যে তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল৷ এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে৷ প্রত্যেক মুখ্যমন্ত্রীকেই বক্তব্য রাখার জন্য প্রাপ্য সময় দেওয়া হয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাইক বন্ধ করে দেওয়ার যে অভিযোগ করেছেন তা দুর্ভাগ্যজনক এবং অসত্য৷ মিথ্যের উপর ভিত্তি করে কোনও ধারণা তৈরি না করে তাঁর উচিত এই অভিযোগের আড়ালে থাকা সত্যিটা সামনে নিয়ে আসা৷’মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য অভিযোগ করেছিলেন, ‘দেশের স্বার্থে বাংলার স্বার্থে রাজ্যগুলির স্বার্থে আমি এখানে এসেছিলাম৷ বিরোধী পক্ষের অন্য কেউ আসেনি৷ আমি একা এসেছিলাম৷ আপনারা বাজেটে আমাদের বঞ্চনা করেছেন, বাংলার সমস্ত দলের উন্নয়ন বন্ধ করে দিয়েছেন৷ আপনারা বিরোধীদের কোনও সুযোগ দেন না৷ তিন বছর ধরে সব উন্নয়ন বন্ধ৷ গত বছর পর্যন্ত ১ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা পাই৷ বাজেটে এ বছরও শূন্য৷ এইটুকু বলার পরই আমার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ আমি তখন বললাম আমার মাইক কেন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে? এটা আমাকে অপমান করা হল৷ সব বিরোধী দলকেই অপমান করা হল৷ এর পরে আর আমার এখানে থাকা সম্ভব নয়, আমি চললাম৷’ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংসদেও সরব হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল৷