Breaking News

সরকারি মেডিক্যাল কলেজে চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তারক্ষী কেন? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের,চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানাল রাজ্য!

দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির নিরাপত্তায় সিভিক ভলান্টিয়ারসহ যে কোনও চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগে আপত্তি জানাল সুপ্রিম কোর্ট। কেন এই হাসপাতালগুলির নিরাপত্তায় শুধুমাত্র স্থায়ী পুলিশকর্মীদের নিয়োগ করা হবে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। জবাবে রাজ্যের আইনজীবী জানান, রাজ্যের ৪৫টি হাসপাতালে রাতে মহিলা চিকিৎসক ও অন্যান্য কর্মীদের নিরাপত্তায় মহিলা পুলিশকর্মীকে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।
নিরাপত্তা কর্মীরা পুলিশ বা সিভিক ভলান্টিয়ার নয়, বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী, সেই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, “এই চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তা কর্মীরা রাতে ঘোরাফেরা করলে মহিলা চিকিৎসকেরা কী ভাবে নিরাপদ বোধ করবে?”পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ৩৬ ঘণ্টা কাজ করেন যে হাসপাতালে চিকিৎসকরা সেখানে নিরাপত্তায় কখনোই চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তা রক্ষীর উপর ভরসা করা যায় না। আরজি করের নিরাপত্তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, “আরজি করে কেন এতগুলো সিসিটিভি বসানোর কথা বলার পর মাত্র ৩৬টা সিসিটিভি বসানো হয়েছে?”রাজ্যের মোট ৩৫টি হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে বলে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, জেলাশাসক এবং পুলিশ সুুপাররা দেখবেন, কোথায় কোথায় নিরাপত্তা কড়াকড়ি করার প্রয়োজন। সেই সঙ্গে দেশের প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “কিছু এসওপি তৈরি করার প্রয়োজন। মহিলা ডাক্তাররা যেখানে বিশ্রাম করেন, তাঁদের বাথরুম- সব জায়গাতে নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সিসিটিভি বসাতে হবে”।এদিন সুপ্রিম কোর্টে আরজিকর এবং অন্যান্য হাসপাতালে নিরাপত্তার ব্যবস্থাপনার অগ্রগতির জন্য দু’সপ্তাহ সময় চায় রাজ্য। শুনে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে রাজ্যের হাসপাতালগুলির রেস্টরুম, শৌচাগার, নিরাপত্তার বন্দোবস্ত, সিসি ক্যামেরা সব কিছু নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে অগ্রগতি সংক্রান্ত হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *