Breaking News

‘কুইন্টাল কুইন্টাল জল ছাড়া হয়েছে’, প্লাবন দেখে বললেন রচনা, বিজেপি বলল জাদুঘরে রাখা উচিত!বন্যা দেখতে গিয়ে ওলকচু কিনলেন সাংসদ

প্রসেনজিৎ ধর, হুগলি:- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসি-কে দায়ী করলেন হুগলির তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে দোষারোপ করতে গিয়ে একক গুলিয়ে ফেললেন তিনি। এদিন রচনা বললেন, ‘‘কুইন্টাল কুইন্টাল জল বেরিয়ে আসছে। মানুষের বাড়িঘর কিচ্ছু নেই! সবাই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন। আর ওরা (ডিভিসি) বলছে, জানিয়ে পাঠিয়েছে!’’ রচনা জানান, সত্যিটা কি এই মুহূর্তে তাঁর জানা নেই। তবে যা হয়েছে, ঠিক হয়নি। অন্য দিকে, সাংসদের কিউসেকের সঙ্গে কুইন্টাল গুলিয়ে ফেলা নিয়ে বিজেপির খোঁচা, ‘‘ওঁকে মিউজিয়ামে রাখা উচিত।’’শ্রীপুর বলাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদরা কলোনী, মিলনগর গ্রামের এই ভাঙন কবলিত এলাকায় বুধবার পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। বারবার জানান, বস্তা ফেলার পরেই তা ভেসে যায়। ভাঙন রোখা যাচ্ছে না কিছুতেই।রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও বলেন,‘‘তিনমাস আগে যেখানে দাঁড়িয়ে প্রচার করে গেছি সেই জায়গা তলিয়ে গেছে। কয়েকটি বাড়ির রাস্তাও গঙ্গায় মিশে গেছে। খুবই খারাপ অবস্থা।এলাকার মানুষকে ত্রাণ দিয়েছি। গঙ্গা ভাঙন রোধ একটা বড় ব্যাপার।আমি লোকসভায় বলেছি। আবারও বলব। কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়া হবে না। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের আদলে বলাগড় মাস্টার প্ল্যান করতে হবে।’’ এরপরেই লকেট চট্টোপাধ্যায়কে দুষে বলেন, ‘‘আগে যিনি সাংসদ ছিলেন তিনি কিছু করেননি। আমি চেষ্টা করছি।’’এদিন মিলনগড় থেকে চর খয়রামারি যাওয়ার সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে রচনা দেখেন চাষিরা ওল ধুয়ে বাজারে নেবেন বলে বস্তায় ভরছেন। সেখানে দাঁড়িয়ে পড়ে রচনা জানতে চাইলেন ওলে গলা ধরবে কিনা! চাষিরা আশ্বস্ত করতেই তাঁদের থেকে সেই ওল কিনলেন হুগলির সাংসদ। বললেন, ‘‘খুব সুন্দর ওলের চাষ হয়েছে। ওল খেতে পছন্দ করি, তাই নিয়ে গেলাম।’’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *