প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে চিকিৎসকদের মিছিলে অনুমতি দিল আদালত। আগামী ১ অক্টোবর কলেজ স্কোয়ার থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত মিছিলে অনুমতি দিল বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের । বিকাল ৫ থেকে রাত ৮ পর্যন্ত হবে এই মিছিল। অনুমতি মিলল আদালতের তরফে। সেই সঙ্গে আদালতের নির্দেশ , পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। মঙ্গলবার, তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার বিচার চেয়ে, নাগরিক মিছিলে, ১ লক্ষ মানুষের জমায়েতের ডাক দেয়, জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। মিছিলে সামিল হওয়ার কথা ৫৫টি সংগঠনের। কিন্তু চিকিৎসকদের ডাকা এই মিছিলের অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চিকিৎসকরা।আদালতে রাজ্য সওয়াল করে, মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা স্পষ্ট করুক চিকিৎসকদের সংগঠন। চিকিৎসকদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘সদস্য সংখ্যা বলতে পারি, কিন্তু সাধারণ মানুষ যোগ দিলে সেই সংখ্যা কি করে বলব ? ‘ তখন বিচারপতিই বলেন, ‘মনে করুন যদি এই মিছিলে ১০ লক্ষ সাধারণ নাগরিক শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানাতে স্বতস্ফূর্তভাবে যোগ দেন তাহলে কি তারা প্রতিবাদ জানাতে পারবেন না ?এটা তো তাদের সাংবিধানিক অধিকার’| বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ রাজ্যকে আরও প্রশ্ন করেন, ‘মনে করুন যেখানে ১৪৪ ধারা নেই, সেই এলাকায় বহু মানুষ বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করলেন…রাজ্য কি ট্রাফিকের কারণ দেখিয়ে প্রতিবাদ জানাতে বারণ করতে পারে ?’। রাজ্য আদালতে জানায়, তা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রাজ্যের আছে। সোমবার মামলাটি হাইকোর্টে উঠলে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘কলেজ স্ট্রিট থেকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ হয়ে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত ডাক্তারদের মিছিল হবে। কেসি দাস থেকে ভিক্টোরিয়া হাউস হয়ে বেন্টিক স্ট্রিট পর্যন্ত ১৬৩ ধারা জারি। ফলে বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে মিছিলের কোনও সংঘাত হবে না। কম লোকের অংশগ্রহণের শর্তে পুলিশ অনুমতি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু আন্দোলন আর সেই জায়গায় নেই। ডাক্তারদের মিছিলে ৫০ হাজার লোক হতে পারে বলে পুলিশকে জানিয়েছি। পাল্টা পুলিশ ১ হাজার লোক নিয়ে মিছিলের কথা বলছে। তা মানা সম্ভব নয়। বাইরে থেকে বহু মানুষ মিছিলে যোগ দিতে চাইছেন। তাঁদের কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করব?’এরই প্রেক্ষিতে বিচারপতি রাজ্যকে প্রশ্ন করে, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কী ভাবে বন্ধ করবে পুলিশ?’ রাজ্যের অবশ্য যুক্তি ছিল, ‘১ হাজার লোক নিয়ে যদি মিছিল করা হয় সেক্ষেত্রে কোনও আপত্তি নেই।’এদিন আদালত চিকিৎসকদের ১ তারিখের মিছিলের অনুমতি দেয়। তবে নির্ধারিত রুটেই মিছিল করতে হবে বলে নির্দেশ আদালতের। তবে কত সংখ্যক লোক নিয়ে এই মিছিল হবে? সেই সংখ্যা বেঁধে দেয়নি আদালত।