দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ওষুধের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সোমবার চিঠি লিখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । গত ১৪ অক্টোবর এমপিপির একটা গেজেট নোটিফিকেশন বেরিয়েছে ৷ সেখানে দেখা গিয়েছে, জীবনদায়ী কিছু ওষুধের দাম ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে| এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এগুলির মধ্যে রয়েছে যেমন টিবি, হাঁপানি, থ্যালাসেমিয়া, চোখ ও মানসিক অসুস্থতাজনিত রোগের ওষুধ । এই গুরুত্বপূর্ণ জীবনদায়ী ওষুধের দাম ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত উদ্বিগ্ন । এখানেই শেষ নয়, রাজ্যে যেখানে সাধারণ মানুষকে বিনামূল্য ওষুধ দেওয়া হয়, সেখানে রাজ্য সরকারকে বাজেট বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে ।
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, হঠাৎ ওষুধের দাম এত বৃদ্ধি পেলে দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত রোগীদের পরিজনেরা অসুবিধার মুখে পড়বেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে জীবনদায়ী ওষুধের দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের কাছেও বড় ধাক্কা বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন মমতা। তিনি লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্য, যারা রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে থাকে, ওষুধের দামবৃদ্ধির ফলে তাদের উপরেও সার্বিক ভাবে আর্থিক বোঝা বাড়বে।” একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, “আমি আশাবাদী যে আপনি একমত হবেন যে, এর ফলে রাজ্যগুলিতে তো বটেই, গোটা দেশে সুলভে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে।”
চিঠির শেষে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “আমার আর্জি আপনার দফতর জনস্বার্থে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রককে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশ দিক। প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি বা এনপিপিএ ওই ওষুধগুলির দামবৃদ্ধিতে সবুজ সঙ্কেত দিয়ে জানায়, খরচ মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় ওষুধগুলি তৈরিতে সমস্যা হচ্ছিল। ওই আটটি ওষুধ যাতে বাজারে সব সময় পাওয়া যায়, সেই বৃহত্তর স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই দাম বাড়ানো হয়েছে।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal