নিজস্ব সংবাদদাতা , কলকাতা :- নবান্নে ঘন্টা দুয়েক পর শেষ হল জুনিয়র ডাক্তার-মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক।অভয়ার সুবিচারের পাশাপাশি মোট ১০ দফা দাবিতে লড়ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের দাবির মধ্যেই ছিল, স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ। স্বাভাবিকভাবেই সোমবার রাজ্য-জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকেও উঠল এই প্রসঙ্গ। তাতেই মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানালেন, নারায়ণস্বরূপ নিগমকে নিয়ে কোনও কথা শুনবেন না তিনি। বললেন, “অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে অভিযুক্ত বলা যায় না।” দেবাশিস, অনিকেত, কিঞ্জলরা নবান্ন সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তাঁদের দাবিদাওয়া তুলে ধরেন। প্রসঙ্গ আসে ডায়মন্ড হারবারে এদিনের ঘটনার কথাও। ডায়মন্ড হারবার প্রসঙ্গ উঠতেই মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আমি টিভিতে দেখেছি সেখানে একজনকে জোর করে পদত্যাগ করানো হচ্ছে। এটা কি ‘থ্রেট কালচার’ নয়? এখানেই থামেননি মমতা। আর্জি কর থেকে কেন ৪৭ জনকে সাসপেন্ড করা হল সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরেন। এরপর অনিকেত মাহাতো মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, যাঁদের চিহ্নিত করে সাসপেন্ড কপরা হয়েছে তাঁরা ‘নটরিয়াস ক্রিমিনাল’। মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, ‘সরকারকে না জানিয়ে এভাবে কি কাউকে সাসপেন্ড করা যায়?’ বৈঠকে উপস্থিত জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, কলেজ কাউন্সিল রয়েছে। সেই কাউন্সিল তদন্ত করে তাঁদের সাসপেন্ড করেছে’। এদিনের আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টে জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবীকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি। তিনি জানান, ‘কোর্টে ওই মহিলা আইনজীবী দাবি করেছেন রাজ্যের হাসাপাতালে তুলোও পাওয়া যায় না।’ এরপরেই তিনি নবান্ন সভাঘরে উপস্থিত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের প্রশ্ন করেন, ‘এটা কি ঠিক? এতে রাজ্যের মুখ পুড়ল।’ এরপরই জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন তোলার আবেদন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কথা বলে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সরকার কাজ করবে কী করে?’ পাল্টা জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, ‘স্টেট টাস্ক ফোর্সের মতো কলেজেও কমিটি গড়তে হবে’। মমতাকে প্রশ্ন করেন, ‘কলেজস্তরে র্যাগিংয়ের অভিযোগ এলে কে খতিয়ে দেখবে? অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি নাকি টাস্ক ফোর্স?’