দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- স্থলভাগের আরও কাছে এগিয়ে এল ‘প্রবল’ ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। বঙ্গোপসাগরের উপর তার গতিও বৃদ্ধি পেল। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের বুলেটিন বলছে, শেষ ছ’ঘণ্টায় তার গতিবেগ ছিল ১৩ কিলোমিটার। এর আগে সমুদ্রের উপর দিয়ে ১২ কিলোমিটার গতিবেগে স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছিল সে। এখন সমুদ্রের উপর ঝড়ের গতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২৫ কিলোমিটার।কলকাতা-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মেঘলা। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। অন্ধকার করে এসেছে চারিদিক। ফুঁসছে সমুদ্র। স্থলভাগের থেকে ক্রমশ কমছে দূরত্ব।সকালের বুলেটিনে আলিপুর জানিয়েছিল, ঘণ্টায় ১২ কিমি বেগে বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে দানা। তবে, বর্তমানে এর গতিবেগ ১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে সাগরদ্বীপ থেকে পুরীর মাঝে। ল্যান্ডফলের সময় দিঘা, মন্দারমনি-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকায় ঘণ্টায় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ১০০ থেকে ১২০ কিমি। তীব্র জলোচ্ছ্বাস দেখা যেতে পারে সমুদ্রে। আরও জানাচ্ছে, ল্যান্ডফলের সময় দিঘায় জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ১ থেকে ২ মিটার হতে পারে। একইভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলে দশমিক ৫ থেকে ১ মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। দানার আগমন ঘিরে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে বন্দরেও। আবহাওয়া আধিকারিক সোমনাথ দত্ত বলেন, ‘হলদিয়া, কলকাতা ও সাগর বন্দরে ৯ নম্বর সর্তকতা জারি করা হয়েছে। ‘‘দানা’-র প্রভাবে ইতিমধ্যেই ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে ওড়িশার উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। বিশেষত, পারাদ্বীপ, কেন্দ্রাপড়া এবং ভদ্রকে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরে ঝড়ের গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার গতি হতে পারে মাঝেমধ্যে ১২০ কিলোমিটার। ‘ল্যান্ডফল’-এর প্রক্রিয়া যখন চলবে, সেই সময় পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদ্বীপ, সুন্দরবনে ঝড়ের গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার। মাঝে মধ্যে দমকা হাওয়ার গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাকি অংশে সে সময় ঝড়ের গতি হতে পারে ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার গতি হতে পারে ৯০ কিলোমিটার। কলকাতায় সেই সময় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় হতে পারে। মাঝে মধ্যে দমকা হাওয়া বইতে পারে ৮০ কিলোমিটার গতিবেগে।