Breaking News

প্রায় ২৮ ঘণ্টা পর নবান্ন থেকে বেরলেন মুখ্যমন্ত্রী!ক্ষতির তালিকা করে জেলাশাসকদের নির্দেশ মমতার

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ ভয়ঙ্কর রূপে এ রাজ্যে আছড়ে না পড়লেও, ব্যাপক প্রভাব তো পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন প্রান্তে লন্ডভন্ড পরিস্থিতি। গোটা রাত জেগে নবান্নে পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে সকালে দীর্ঘক্ষণ বৈঠকও করেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের সচিবরা। সেই বৈঠক সূত্রেই জানা গিয়েছে, ‘দানা’-র হামলায় রাজ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বাড়িতেই কাজ করার সময় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।ওই ব্যক্তি কেবল সংক্রান্ত কিছু কাজ করছিলেন। সেই সময় বাড়িতেই মৃত্যু হয় তাঁর। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরে গোটা ঘটনাটা জানা যাবে।
সাংবাদিক বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যদি প্রয়োজন হয় তবে আমরা পরিবারকে সহায়তা করব। তিনি জানিয়েছেন, সাইক্লোনের জেরে কিছু জেলায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষত কাঁচা বাড়িগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সমস্ত ডিএম, এসপি ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা তাঁদের সর্বোত্তম চেষ্টা করছেন। আমরা তাঁদের সঙ্গে সমণ্বয় রেখে কাজ করছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, ২.১৬ লাখ মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে সরিয়ে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলছিলেন কপিল মুনির আশ্রমে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। জল জমে গিয়েছিল। আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সমস্ত বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলেছি। কপিল মুনির আশ্রমের সামনে জল জমার ঘটনারও উল্লেখ করেন। নামখানা বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেন মমতা। জানা গিয়েছে, নারায়ণগরের বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেন, মানস ভুঁইয়াকে ফোন করেন, কেশিয়ারি বিধায়ককে ফোন করেন এবং বিরবাহার সঙ্গে ফোনে কথা হয় মুখ্যমন্ত্রীর। এদিন মমতা বলেন, জেলা শাসক,পুলিস সুপাররা ভালো কাজ করেছে। সাগর, গোঁসাবা,সন্দেশ খালি তে বৃষ্টি হয়েছে। বাঁকুড়া জেলা শাসকের উদ্দেশে জানান, ২৯ টা ক্যাম্প চলছে,২৭ কাঁচা বাড়ি ড্যামেজ, আড়াই হাজার মানুষকে ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।তাঁর কথায়, শনিবারের পর সব তালিকা করবে। কৃষি সচিবকে বলছি ক্ষতি কি হয়েছে তালিকা করুন। আগে যে বন্যা হয়েছে সেখানে কাজ কতদূর। জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কাদের তালিকা করতে হবে। ৩১ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হলো বিমার সুযোগ চাষীরা যাতে কোনও ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *