দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- আর মাত্র দিনের অপেক্ষা, তারপরেই একটা মেট্রোতেই এসপ্ল্যানেড থেকে সোজা যাওয়া সম্ভব হবে শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে মেট্রো করে। বিশেষ করে বৌবাজার। আর দীর্ঘক্ষণ ধরে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। এমনিতে মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছিল যে বউবাজার অংশে যে জায়গায় সব থেকে বেশি সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল কলকাতা মেট্রোকে সেখানেই লাইন পাতার কাজ শেষ হয়েছে। তবে এবার সেই কাজে আরও এক বড় আপডেট প্রকাশ্যে উঠে এল। এবার নতুন করে সফল হল ট্রায়াল রান। ট্রায়াল রান হয়েছে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বৌবাজার অংশেও |মেট্রো রেলের চেয়ারম্যান পি উদয়কুমার রেড্ডি, প্রধান ইঞ্জিনিয়ার অনুজ মিত্তল ও অন্যান্য সিনিয়র আধিকারিকদের উপস্থিতিতে ট্রায়াল রান সফল হয়।এই রুটে বউবাজার থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত কাজে বারবার বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে বউবাজারে মেট্রো স্টেশনে কাজ চলাকালীন দুর্গা পিতুরী লেন ও স্যাকরা পাড়া লেনের একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরে। টানেলের ভিতরে জল ঢুকতে থাকে। আটকে পড়ে মেট্রোর খননকারী একটি যন্ত্র। তারপর দীর্ঘ টালবাহানার পর ফের কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের মে মাসে ফের জল ঢুকতে থাকতে টানেলে। ফাটল ধরে আরও বহু বাড়িতে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই অক্টোবর মাসেও একই ঘটনা ঘটে। এরপর বেশ কিছু দিন বন্ধ থাকে এই অংশে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ। পরে কাজ শুরু হলেও আশঙ্কা ছিলই। কলকাতা মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডি ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের এসপ্ল্যানেড-শিয়ালদহ সেকশনে ট্রলির মাধ্যমে সার্ভে করেন। ইস্ট-ওয়েস্ট করিডর বা গ্রিন লাইন পুরোপুরি চালু হলে হাওড়া ময়দানের সঙ্গে সল্টলেক সেক্টর ফাইভের সংযোগ স্থাপন করবে। এটি বর্তমানে দুটি বিচ্ছিন্ন বিভাগে চালু রয়েছে – হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড এবং শিয়ালদহ-সেক্টর ৫, এসপ্ল্যানেড-শিয়ালদহ অংশে যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে কাজ হচ্ছে।কলকাতা মেট্রোর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বাস্তবায়নকারী সংস্থা কেএমআরসিএল-এর বেঁধে দেওয়া সময়সূচির একদিন আগেই হাওড়াগামী সুড়ঙ্গের ট্রলি পরিদর্শন করেন রেড্ডি। পরিদর্শনটি একটি মাইলফলক চিহ্নিত করেছে, যা টানেলের ট্র্যাক-পাতার কাজ সমাপ্তির ইঙ্গিত দেয়।