দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে এলেন না আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই সমাবর্তনে রাজ্যপাল আসবেন না সেটা আগেই অনুমান করা হয়েছিল। কারণ এই সমাবর্তন নিয়ে তাঁর আপত্তি আছে সেটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যথারীতি অনেকক্ষণ অপেক্ষা করা হলেও দেখা মিলল না আচার্য সিভি আনন্দ বোসের। পতাকা উত্তোলন করার সময় থমকে যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অবশেষে আচার্যের চেয়ার ফাঁকাই রইল। প্রথা মেনে আজ, মঙ্গলবার কোর্ট বৈঠক হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই কোর্ট বৈঠকের আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজভবন। তাই রাজভবনের পক্ষ থেকে ফোন আসে বিশ্ববিদ্যালয়ে বলে সূত্রের খবর। যদিও রাজভবনের আপত্তিতে গুরুত্ব না দিয়ে ওপেন এয়ার থিয়েটারে সমাবর্তন শুরু হয়।সোমবার রাজভবনের তরফে সমাজমাধ্যমে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে আইনের খুঁটিনাটি তুলে ধরে অন্তর্বর্তী উপাচার্যের আচরণ আইন ও বিধির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে মন্তব্য করা হয়। এমনকি, বেআইনি কাজ ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের ডিগ্রির বৈধতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু অবশ্য সমাজমাধ্যমের একটি পোস্টে সমাবর্তন ঘিরে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দেন।পদাধিকার বলে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। তাঁর উপস্থিতিতেই কোর্ট বৈঠক শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু রাজ্যপাল যাননি। তবে কোর্ট বৈঠকে রাজ্যপালের মনোনীত প্রতিনিধি জিতেন্দ্রনাথ রায় উপস্থিত ছিলেন। শেষমেশ বোসের সেই ‘দূত’, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত, সহ-উপাচার্যের উপস্থিতিতে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে কোর্ট বৈঠক শুরু হয়। তারপর শুরু হয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান।