Breaking News

মর্মান্তিক পরিণতি !ওড়িশায় রোগী নিয়ে যাওয়ার পথেই কন্টেনারে ধাক্কা অ্যাম্বুলেন্সের,মৃত ১

দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- রোগী ও তাঁর পরিজনদের নিয়ে দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল অ্যাম্বুল্যান্স। ভোরবেলার ঘন কুয়াশায় সামনে দৃশ্যপট খুব একটা পরিষ্কার ছিল না। সামনে থাকা একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ঘটনাস্থলেই মারা গেলেন অ্যাম্বুল্যান্স চালক। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার বামনপুকুরের কাছে।দুর্ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, দৃশ্যমানতা কম থাকার কারণে এই দুর্ঘটনা। সকালে ঘন কুয়াশার জেরেই কম ছিল দৃশ্যমানতা। চন্দ্রকোণা থেকে ওড়িশায় রোগী নিয়ে যাচ্ছিল একটি অ্যাম্বুলেন্স। অ্যাম্বুলেন্সে চালক-সহ ৫ জন ছিলেন। দৃশ্যমানতা কম থাকার কারণে দাঁতনের বামুন পুকুরের কাছে একটি কন্টেনারের পিছনে সজোরে গিয়ে ধাক্কা মারে অ্যাম্বুলেন্সটি। সঙ্গে সঙ্গে দুমড়ে মুচড়ে যায় অ্যাম্বুলেন্সটি। ঘটনাস্থলে দাঁতন থানার পুলিশ গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের চালককে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে। তাঁকে দাঁতন গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি ৪ জনের দাঁতন গ্রামীণ হাসপাতালেই চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু, পরিস্থিতি গুরুতর থাকায় তাঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলেই মারা যান ঈশ্বরচন্দ্র সর্দার (৪০) নামে ওই চালক। তাঁর বাড়ি বাঁকুড়ার কোতুলপুর এলাকায়। ওই অ্যাম্বুল্যান্সে থাকা রোগী সহ আরও চারজন গুরুতর জখম হয়েছেন। আহতদের নাম প্রিয়ব্রত রায়, সুব্রত রায়, অবিনাশ রায় ও অজয় মণ্ডল। তাঁদের প্রত্যেকের বাড়ি চন্দ্রকোনা টাউনের তাতারপুর এলাকায়। ওই অ্যাম্বুল্যান্স করে ওড়িশার ভুবনেশ্বর এইমসে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছিলেন তাঁরা।পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ঘন কুয়াশার জেরে চালক সামনের রাস্তা ভালো করে দেখতে পাননি। এদিকে গাড়িটিও বেশি গতিতে ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। কন্টেনারটিকে ওভারটেক করতে গিয়ে সেই গাড়িটির পিছনে গিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে ওই অ্যাম্বুল্যান্সটি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *