দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-শিলিগুড়িতে বাম ছাত্র যুব সংগঠনের উত্তরকন্যা অভিযান। শিলিগুড়িতে এসএফআই, ডিওয়াইএফের উত্তরকন্যা অভিযানকে ঘিরে একেবারে ধুন্ধমার পরিস্থিতি। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। সেই সঙ্গেই জলকামান দিয়ে বাম ছাত্র যুবদের ছত্রভঙ্গ করতে তৎপর হয় পুলিশ। অভিযান ঠেকাতে আগে থেকেই পুলিশ একাধিক ব্যারিকেড তৈরি করে রেখেছিল। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বামেদের যুব সংগঠনের সদস্যরা সেই ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে থাকলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের তরফে লাঠি, কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। পাল্টা হিসেবে ডিওয়াইএফআই কর্মীরা ইট ছুড়তে শুরু করে বলে অভিযোগ।ঘটনার জেরে শিলিগুড়ির বর্ধমান রোড, নৌকাঘাট, তিনবাত্তি মোড়, উত্তরকন্যা সহ একাধিক এলাকা কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে যায়। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। মীনাক্ষী-সহ বামেদের যুব সংগঠনের একাধিক নেতা, নেত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। বেকার যুবক, যুবতীদের চাকরি, চাকরি না হওয়া পর্যন্ত সরকারিভাবে ভাতা প্রদান-সহ বিভিন্ন দাবিতে এদিন উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়েছিল বামেদের যুব সংগঠন। অভিযানের খবর পেয়ে পুলিশ আগে থেকেই বর্ধমান রোড, নৌকাঘাট, তিনবাত্তি মোড়, উত্তরকন্যা সহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যারিকেড করে। যদিও একাধিক দলে ভাগ হয়ে ডিওয়াইএফআই কর্মীরা উত্তরকন্যার দিকে এগোতে থাকে। সূত্রের খবর, পুলিশের একাধিক ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোকে ঘিরেই গোলমাল তৈরি হয়। বাধার মুখে পড়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে আন্দোলনকারীরা ইট ছুড়তে শুরু করে। পাল্টা হিসেবে পুলিশও জল কামান ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এরপরই পরিস্থিতি রণক্ষেত্রর চেহার নেয়। ঘটনায় দু’পক্ষেরই বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন বলে খবর।গোটা ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধেই বড় অভিযোগ এনেছেন মীনাক্ষী। তাঁর কথায়, “শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপর তৃণমূলের পুলিশ লাঠি চালাল। আসলে এভাবেই গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরছে এরা।” পুলিশের অবশ্য দাবি, আন্দোলনকারীরাই প্রথমে পুলিশকে আক্রমণ করেছে। তারই জেরে পুলিশ প্রতিরোধ করেছে মাত্র।
