Breaking News

কাউকে ছাড়ব না,জঙ্গিপুর হিংসার দোষীদের পাতাল থেকে টেনে বার করব,অপরাধীদের কাউকে ছাড়া হবে না! বললেন জাভেদ শামিম

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-জঙ্গিপুর হিংসায় যারা জড়িত কাউকে ছাড়া হবে না, দরকারে পাতাল থেকে তাদের টেনে বার করব। এলাকায় শান্তি ফেরানোর বার্তা দিয়ে একথা বললেন রাজ্য পুলিশের এডিজি আইন শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম। সোমবার দুপুরে ভবানী ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি সবাইকে গুজব থেকে দূরে থাকতে অনুরোধ করেন। বলেন, শান্তি ফেরানোয় সব থেকে বড় প্রতিবন্ধকতা হল গুজব।সেইসঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, ”গুজব ছড়ানোয় কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য হোক, কোনও সংগঠনের হোক, আমরা দেখব না। যারা যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের সকলকে শাস্তি দেওয়া হবে। দরকারে পাতাল থেকে খুঁজে বের করে আনব দোষীদের। কিন্তু শাস্তি দেবই।”রাজ্যের অন্যতম শীর্ষ এই পুলিশকর্তা বলেন, ‘শনিবার বিকেলের পর থেকে তেমন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। গত ২৪ ঘণ্টা জঙ্গিপুরে পুরো শান্তি বহাল আছে। পুলিশ পুরোপুরি সতর্ক রয়েছে । মানুষের আস্থা ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কিছু দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। আশা করি খুব দ্রুত জনজীবন পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’ তিনি জানান, ‘কিছু লোক যারা নিজেদের গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে কাল রাতেই ১৯ জনের মতো ফিরে এসেছেন। বাকি ঘরছাড়াদেরও দ্রুত বাড়িতে ফেরাতে মালদা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আমরা যৌথভাবে কাজ করছি। পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রয়েছ, তবে স্বাভাবিক হয়েছে একথা বলা যায় না।’তিনি জানান, ‘এত গুজব বাজারে ঘুরছে যে মানুষের আস্থা ফেরানো খুব মুশকিল হয়ে গিয়েছে। গুজব ছড়ানো বন্ধ করতে আমরা বেশ কিছু জায়গায় ইন্টারনেট বন্ধ করেছি। তবে আসেপাশের এলাকার মোবাইল টাওয়ার ব্যবহার করে গুজব ছড়ানো হচ্ছিল। তাই মালদা ও বীরভূমের কিছু এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ করতে হয়েছে। তবে নতুন জায়গায় ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে এই তথ্য ঠিক নয়। গুজব ছড়ানোটা সবার আগে বন্ধ করতে হবে।এই কয়েকদিন জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছিল। পুলিশকর্তা জানালেন, গুজব রুখতেই সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ইন্টারনেট আবার চালু করা হচ্ছে। কিন্তু গুজব এখনও আটকানো যাচ্ছে না। জাভেদ শামিমের দাবি, সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেকেই ভুয়ো খবর ছড়িয়ে অশান্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। তাঁর কথায়, ”পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও মানসিকভাবে মানুষ স্বাভাবিক হতে পারছেন না ভুয়ো খবরের জন্য। লাগাতার ভুয়ো ছড়ানোর চেষ্টা করছে একদল। সেগুলি বিশ্বাস করে মানুষ আরও বিপদে পড়ছেন। শান্তিপ্রতিষ্ঠার পথে সবচেয়ে বড় শত্রু গুজব।”

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *