প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- সাম্প্রতিক অশান্তির পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীরবতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তাঁর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী যখন দেশের অন্য রাজ্যে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে দলীয় প্রতিনিধিদের পাঠান, তখন নিজের রাজ্যের মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ে কেন কোনও উদ্যোগ নিচ্ছেন না?অধীর বলেন, গুলি খাওয়া তিনজনকে দেখলাম। বসতে পারছেনা, শুতে পারছে না। দেখা যাচ্ছে না। তাদের প্রচন্ড কষ্টের কথা তুলে ধরেন তিনি| এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অধীর মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নেন অধীর | তিনি বলেন, সবাই বলছেন মুর্শিদাবাদ, মুর্শিদাবাদ, মুর্শিদাবাদ। যেন মুর্শিদাবাদ আফগানিস্তান হয়ে গিয়েছে । তা নয়। বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী আপনি আসুন। এখানে ভিজিট করুন। আপনি তো ঘুরতে ভালোবাসেন। গঙ্গার ধারে কবিতা লিখবেন। আপনার প্রতিনিধিরা হাথরসে যায়, মণিপুরে যায় জঙ্গিপুরে আসতে অসুবিধা কোথায়? ….বড় খোঁচা দিলেন অধীর চৌধুরী।”হাথরস হলে প্রতিনিধিদল পাঠান, মণিপুরে ঝামেলা হলে সরব হন, কিন্তু সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে কিছুই বলেন না কেন? এখানকার মানুষ কি ভোট দেননি? এখানকার সাংসদরা কি আপনার দলের নয়?”— এমন প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে মুর্শিদাবাদে এসে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু ও মুসলিম পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান অধীর।তিনি বলেন, “আপনার উচিত পীড়িতদের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের খোঁজ নেওয়া। অন্তত একবার কথা বলুন, পাশে দাঁড়ান— সেটাই একজন মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব।”পুলিশ সূত্রে খবর, আপাতত মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মুর্শিদাবাদের কয়েকটি এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে মালদহের দু’টি এবং বীরভূমের তিনটি ব্লকে ইন্টারনেট থাকবে না মঙ্গলবার পর্যন্ত। যদিও এখনও ‘নবাবদের শহর’ কার্যত থমথমে। হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক রুটমার্চও করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী।
