দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনই জাল পাসপোর্ট কেলেঙ্কারির তদন্তে তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি| মঙ্গলবার সকালে রাজ্যের একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছে তারা। সূত্রের খবর, কলকাতার বেকবাগান থেকে উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটি, নদিয়ার গেদে-সহ মোট আট জায়গায় একযোগে শুরু হয়েছে তল্লাশি। তদন্তকারীদের বিশেষ নজরে এজেন্টরা, যাদের মাধ্যমে ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরি করানো হয়েছিল। তাদের সংযোগ কতদূর, তা জানতে মরিয়া ইডি আধিকারিকরা।তদন্তকারীদের বিশেষ নজরে এজেন্টরা, যাদের মাধ্যমে ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরি করানো হয়েছিল। তাদের সংযোগ কতদূর, তা জানতে মরিয়া ইডি আধিকারিকরা।গত মাসেই জাল ভুয়ো পাসপোর্ট কাণ্ডের তদন্ত শেষ করে চার্জশিট জমা দিয়েছিল লালবাজারের গোয়েন্দা দপ্তর। ১৩০ পাতার চার্জশিটে বলা হয়, অভিযুক্ত ১৩০ জনের মধ্যে ১২০ জনই বাংলাদেশি। তাঁদের সকলে এখনও পলাতক। বাকি ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের অন্যতম প্রাক্তন পুলিশ অফিসার আবদুল হাই। এছাড়াও চার্জশিটে নাম ছিল বহুচর্চিত সমরেশ বিশ্বাস ও তাঁর ছেলে রিপন বিশ্বাস-সহ আরও তিনজনের।গত মাসে ভবানীপুর থানার তরফে মামলার চার্জশিট পেশ করা হয়। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, এই চক্রের সঙ্গে জড়িত মোট অভিযুক্তের সংখ্যা ১৩০ জন। এদের মধ্যে ১২০ জনই বাংলাদেশি নাগরিক, যারা নকল নথি জমা দিয়ে ভারতীয় পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে ‘লুক আউট নোটিস’ও জারি করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরবর্তীতে এই মামলার তদন্তভার নেয় ইডি এবং এবার তারা আরও সক্রিয়ভাবে তদন্ত শুরু করেছে। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সংস্থার আধিকারিকেরা।ইডি আধিকারিকরা এ বিষয়ে আরও তথ্যপ্রমাণ জোগাড়ের জন্য সকাল থেকে তল্লাশি শুরু করে। সূত্রের খবর, বিরাটিতে যে ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চলছে, তিনি সদ্যই বিদেশ থেকে ফিরেছেন। তাঁর পাসপোর্ট জাল কি না, কোন নথির ভিত্তিতে তা তৈরি হয়েছে, ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এসব জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
