প্রসেনজিৎ ধর :- নববর্ষের প্রথম দিনই মর্মান্তিক পরিণতি। পরকীয়া সম্পর্কে পরিবারের বাধা মানতে না পেরে ‘আত্মঘাতী’ যুগল। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ থানার অন্তর্গত পাইকপাড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, দূঃসম্পর্কের ভাগ্নের সঙ্গে মামির প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু তা মেনে নেয়নি পরিবার। আর সেই জ্বালা থেকে ভিডিও কল করে দুই বাড়িতে দু’জন আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পরিবার সূত্রে দাবি। খবর পেয়ে বজবজ থানার পুলিশ তাঁদের মোবাইল দুটি বাজেয়াপ্ত করেছে। দেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্কের পর বছরকয়েক আগে তিনি গাজিতলার বাসিন্দাকে বিয়ে করেছিলেন ওই মহিলা। মহিলা নন্দনপুরের বাসিন্দা। মহিলার আড়াই বছরের এক সন্তান রয়েছে। ওই ব্যক্তির একটি বাইক সরানোর গ্যারেজ রয়েছে এলাকায়। কিন্তু, এতদিন সব ঠিকঠাক থাকলেও দুজনের সংসারে কাটা হয়ে দাঁড়ান ওই ব্যক্তির পিসতুতো দিদির ছেলে।
ওই যুবক একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। তিনি মাঝেমধ্যেই মামার বাড়িতে যাতায়াত করতেন। সেই সূত্রেই ধীরে-ধীরে যুবকের সঙ্গে পরকায়ী সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মামি। তাঁরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা একে অপরের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন। প্রথমে পরিবারের সদস্যরা সেটাই বুঝতে না পারলে পরে তাঁদের বুঝতে অসুবিধা হয়নি। দুটি পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নেননি। আরও জানা যায়, যুবক তাঁর আয়ের বেশিরভাগ টাকা মামিকে দিয়ে দিতেন। জানা গিয়েছে, মাসদুয়েক ধরে রকি কাজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়ে মামির সঙ্গে বেশি করে সময় কাটাচ্ছিলেন।জানা গিয়েছে, দু’জনেই দু’জনের বাড়িতে আলাদা আলাদাভাবে ভিডিয়ো কলে কথা বলতে বলতেই আত্মঘাতী হন। পরে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে বজবজ পৌর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। দুটি ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে দুই পরিবারে। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
