প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- এবার নতুন উপায়ে এটিএম জালিয়াতি, যা নিয়ে একাধিক ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের মাথায় হাত | এটিএম না ভেঙেই নতুন এক যন্ত্র ব্যবহার করেই তুলে নেওয়া হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা | একটি নয় শহরের একাধিক এটিএম-এ এই ঘটনা ঘটার পরে তদন্ত শুরু করেছে লালবাজার বলে সূত্রের খবর | অনুমান যে সংখ্যা টাইপ করা হচ্ছে তার থেকে দ্বিগুণ টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে মেশিন থেকে। কাশীপুর, নিউমার্কেট ও যাদবপুরে কলকাতার ৩টি এটিএম-য়ে ঘটেছে এই কাণ্ড | কলকাতায় নিউ মার্কেটের পাশাপাশি কাশীপুর এবং যাদবপুর, তিন এটিএম থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ | বিশেষ এক যন্ত্র কিংবা গ্যাজেটের সাহায্যে এই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে| জালিয়াতদের গ্যাজেট কীভাবে কাজ করছে তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে লালবাজার | নিউ মার্কেটের এটিএম থেকে ১৮.৮০ লক্ষ, কাশীপুর থেকে ৭ লক্ষ এবং যাদবপুর থেকে ১৩.৮০ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে |প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, টাকা তোলার জন্য যে সংখ্যা টাইপ করা হয়েছে, তার দ্বিগুণ কিংবা তার বেশি টাকা একেকবারে তোলা হয়েছে। এক্ষেত্রে টাকা তোলার জন্য যেভাবে কার্ড ঢোকাতে হয়, তাই করা হচ্ছে | কিন্তু সেই ধাপের মধ্যে কোনও সফটওয়্যার কাজ করছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা তদন্তকারীদের |তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, এটিএম-এর যে ব্রেন থাকে, সেটিকেই কোনও এক ডিভাইসের মাধ্যমে ট্যাম্পার করা হচ্ছে | হতে পারে এটিএম-এর সঙ্গে কেবল দিয়ে ডিভাইসের যোগ করে দেওয়া হচ্ছে তারপরেই যত অঙ্ক দেওয়া হচ্ছে, তার থেকে দ্বিগুণ কিংবা কয়েকগুণ টাকা বেরিয়ে আসছে এটিএম থেকে | সাধারণভাবে কোনও গ্রাহক এটিএম-এ কার্ড ঢুকিয়ে যদি ১০ হাজার টাকা তোলার জন্য লেখেন, সেই সময় মেশিন ঠিক করে ১০ হাজার টাকা বের করার কথা | সেই পরিস্থিতিতেই প্রতারকরা তাদের ডিভাইসকে কাজে লাগাচ্ছে | আর কয়েকগুণ বেশি টাকা বেরিয়ে আসছে এটিএম থেকে |কারা রয়েছে এর নেপথ্যে, কীভাবে কাজ করছে জালিয়াতিদের গ্যাজেট? তদন্তে নেমে একাধিক বিষয়ে জানতে চাইছে লালবাজারের গোয়েন্দাদের টিম | যারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তারা এই রাজ্যের না কি ভিন রাজ্যের তা এখনও জানা যায়নি | ইতিমধ্যেই কিছু সিসিটিভি ফুটেজ হাতে পেয়েছে পুলিশ |