দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন অমৃতাভ | দুর্ঘটনার পর তাঁর দেহ সংগ্রহের সময় ডেথ সার্টিফিকেটে তার যে জন্মসাল উল্লেখ করা হয় | সেই অনুযায়ী অমৃতাভর বর্তমান বয়স কম হওয়ার কথা | তদন্তকারীদের মতে অমৃতাভর মৃত্যুর ভুয়ো শংসাপত্রেও গরমিল রয়েছে|| দুর্ঘটনার সময় মৃতদেহ শনাক্তকরণে যে ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছিল তার রিপোর্ট ঘিরেও তৈরি হয়েছে বিস্তর ধোঁয়াশা | অমৃতাভর আসল বয়স জানতে তার হাড়ের পরীক্ষা করবে সিবিআই| ২০১০ জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনায় অমৃতাভ চৌধুরীর ভুয়া ডেথ সার্টিফিকেটে জন্মসাল দেওয়া রয়েছে ১৯৮২| সেই সাল মোতাবেক অমৃতাভর বর্তমান বয়স কম | তার আসল বয়স সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ‘ওসিফিকেশন টেস্ট’ করাবে সিবিআই | এই পরীক্ষার মাধ্যমে তার হাড়ের গঠন দেখে বয়সের আন্দাজ পাওয়া যাবে | দুর্ঘটনার সময় সরকারি খাতায় মৃত অমৃতাভ চৌধুরীর যা বয়স ছিল, তা ১১ বছর পর এই অমৃতাভর বয়সের সঙ্গে মিলছে কিনা তা জানতেই ওই পরীক্ষা হবে | ইতিমধ্যেই মৃতের জীবিত অবস্থার ছবি এবং মৃতদেহের ছবি প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করছে সিবিআই | ফের তার ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলেও জানা গিয়েছে | রবিবার অমৃতাভর জোড়াবাগানের পুরনো বাড়িতে যান গোয়েন্দারা | পারিবারিক পুরনো অ্যালবাম থেকে বেশ কিছু ছবিও বাজেয়াপ্ত কর হয় | সেগুলি থেকে অমৃতাভর পুরনো চেহারা সঙ্গে বর্তমান চেহারার মিল খতিয়ে দেখেন | তন্তকারীরা নিশ্চিত হন, এই ব্যক্তিই অমৃতাভ | তাঁর হাতের লেখার নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে | তা যাচাই করতে পাঠানো হয়েছে বিশেষজ্ঞদের কাছে |তবে তদন্তকারীদের প্রশ্ন কার মদতে রেলের সঙ্গে এত বড় প্রতারণা করতে পারলেন অমৃতাভ? তদন্তকারীরা মনে করছেন, এর পিছনে কোনও বড় ষড়জন্ত্র থাকতে পারে | জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত বিষয়ে রেলের কোন অফিসারেরা যুক্ত ছিলেন তাদের তালিকাও চাওয়া হবে রেলের থেকে|