তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতে তিনি বিজেপি সদস্য,তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না,অভিযোগে বিডিওর দ্বারস্থ চাঁচলের পাহাড়পুর বুথের সদস্য টুলটুলি দাস মালো!

অভিষেক সাহা, মালদহ :- তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতে তিনি বিজেপি সদস্য, তাই তাঁকে কোনও কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না | এই অভিযোগে স্থানীয় বিডিওর দ্বারস্থ হয়েছেন চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের পাহাড়পুর বুথের সদস্য টুলটুলি দাস মালো | কিন্তু এলাকার কাজের জন্যই তাঁকে নির্বাচিত করেছেন তাঁর বুথের ভোটাররা | আর তাই মানসিক দ্বন্দ্বে শেষ পর্যন্ত স্থানীয় বিডিওর দ্বারস্থ হয়েছেন চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের পাহাড়পুর বুথের সদস্য টুলটুলি দাস মালো | তিনি বিডিওকে জানিয়েছেন, ১০ দিনের মধ্যে তাঁর এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজের ব্যবস্থা না করা হলে তিনি পঞ্চায়েত সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেবেন | টুলটুলিদেবী জানিয়েছেন, ‘এলাকার মানুষজন কাজের জন্য আমাকে ভোট দিয়েছিলেন | তাই আমি জিতেছিলাম | কিন্তু তিন বছর পেরিয়ে গেলেও আমি আমার বুথ এলাকায় কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারিনি | বিষয়টি আমি জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি | আমি বিজেপি সদস্য বলে আমাকে কোনও কাজ দেওয়া হচ্ছে না| পঞ্চায়েতে আমাকে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয় না | সভায় ডাকা হলেও আমার কথার কোনও গুরুত্ব থাকে না|এদিকে গ্রামে আলো, নর্দমা, রাস্তার প্রচুর সমস্যা রয়েছে |’

এ বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান আজমেরি খাতুনের স্বামী মুক্তার হোসেন বলছেন,’ ও যদি পদত্যাগ করে, তবে আমাদের কিছু করার নয় | ওর বুথে প্রচুর কাজ করা হয়েছে|ও সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা বলছে | ও তো মিটিংয়েই আসে না | পঞ্চায়েতে তো বিজেপির আরও সদস্য আছে, সিপিএমের সদস্য আছে | তাদের বুথেও তো কাজ হচ্ছে | শুধু ওর বুথেই নাকি কাজ হচ্ছে না | ও পদ থেকে ইস্তফা দিতেই পারে |’ এ বিষয়ে চাঁচল ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সচ্চিদানন্দ চক্রবর্তী বলছেন, ‘ওই সদস্য পঞ্চায়েতের কোনও সভায় আসেন না | তাঁর এমনিতেই সদস্যপদ খারিজ হওয়া উচিত | তিনি যে অভিযোগ তুলেছেন, তার কোনও ভিত্তি নেই | তাঁর বুথ এলাকায় যথেষ্ট কাজ হচ্ছে | তিনি সেটা জানেনই না |’এদিকে বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য লক্ষ্মণ পাণ্ডে জানান,এই অব্যবস্থা নিয়ে এর বিডিওকে জানিয়েছিলাম | কিন্তু তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি | ওই পঞ্চায়েতের প্রধান নামেই, তাঁর স্বামী সব কাজ করেন | তিনি স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যাচ্ছেন | আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যকে কোনও কাজ দেওয়া হচ্ছে না |’