নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা :- ‘বঙ্গ রাজনীতিতে নারীশক্তি’ তৃণমূল মুখপত্রে বিষয় নিয়ে ধারাবাহিক নিবন্ধ লেখার জন্য এবার শেষমেশ অজন্তা বিশ্বাসকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েই নিল সিপিএম | শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতা জেলা সম্পাদক তথা সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কল্লোল মজুমদার | যদিও লেখিকার দাবি, দলমত নির্বিশেষে বাংলার রাজনীতিতে মহিলাদের লড়াইয়ের কথা তুলে ধরতে চেয়েছিলেন তিনি |তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় ধারাবাহিকভাবে উত্তর সম্পাদকীয় লিখেছিলেন অজন্তা বিশ্বাস | শনিবার শেষ কিস্তিতে স্বাভাবিকভাবেই আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম | বরং তাকে নিয়ে লেখা নিবন্ধের অংশটি তৃণমূলের মুখপত্রে পৃথক করে ৫ নম্বর পৃষ্ঠা ছাপা হয় | লেখাটির আলাদা করে শিরোনাম দেওয়া হয়, ‘ইতিহাস রচনা করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী |’ নিবন্ধে কন্যাশ্রী থেকে স্বাস্থ্য সাথী, লোকসভা থেকে বিধানসভা সমস্তটাই তুলে ধরেছেন অনিল কন্যা | শুধু তাই নয় সিঙ্গুরের আন্দোলনের কথা মনে করিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জননেত্রী বলে উল্লেখ করেছেন তিনি | আর এখানেই ক্ষুব্ধ বাম নেতৃত্ব | সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তাঁকে শোকজের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে |দু-একদিনের মধ্যেই তা পৌঁছে যাবে অজন্তার কাছে | শোকজের চিঠি হাতে পাওয়ার আগেই তাঁর লেখা নিবন্ধ নিয়ে মুখ খুললেন ইতিহাসের অধ্যাপিকা অজন্তা বিশ্বাস| শনিবার এক অডিয়ো বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ইতিহাসের শিক্ষার্থী হিসাবে আমার গবেষণার বিষয় হল বঙ্গ নারী | বেশ কিছুদিন ধরে আমি এ বিষয়ে গবেষণা করে আসছি | এমনই একটি লেখা হল প্রাক-স্বাধীনতা পর্বে অবিভক্ত বাংলা এবং পশ্চিম বাংলার রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ | বঙ্গ রাজনীতিতে নারীদের ভূমিকা নিয়ে লিখতে গেলে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর প্রসঙ্গ আসাটা অত্যন্ত স্বাভাবিক | তিনি বাংলার প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী | মহিলা নেত্রী হিসাবে তিনি দীর্ঘদিন পুরুষ প্রধান রাজনীতির অসম লড়াইয়ে নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন | আমার প্রয়াস বঙ্গ রাজনীতিতে সকল বঙ্গ নারীদের অবদানের কথা তুলে ধরা |’