Breaking News

বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে এবার লখনউ-পাটনা-দিল্লি ও দেহরাদুনের কর্তারা!

নিজস্ব সংবাদদাতা :- রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় বৃহস্পতিবারই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ | হাইকোর্টের সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরই দিল্লিতে শুরু হয়ে গিয়েছে তৎপরতা|জানা যাচ্ছে, লখনউ-পাটনা-দিল্লি ও দেহরাদুনের দুঁদে সিবিআই অফিসারদের নিয়ে গড়া হচ্ছে বিশেষ দল| প্রতি দলের নেতৃত্বে থাকবেন জয়েন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার একজন করে অফিসার| এছাড়াও বিশেষ তদন্তকারী দলে থাকছেন ডিআইজি ও এসপি পদমর্যাদার অফিসাররাও | চারটে টিমে আট জন করে আধিকারিক থাকবেন |এছাড়া, সিবিআই-এর এই বিশেষ তদন্তকারী দলে প্রত্যেক টিমে এক জন করে এসপি পদমর্যাদার মহিলা আধিকারিকও থাকছেন বলে জানা গিয়েছে | ২৫ জন উচ্চপদস্থ আধিকারিককে নিয়ে গঠন করা হয়েছে ৪ টি স্পেশাল টিম| জানা গিয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্তদের মধ্যে অনেকেই কলকাতার নন| তাঁরা দিল্লি অথবা দেরাদুনের| শনিবারের মধ্যে তাঁদের কলকাতায় পৌঁছনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর |প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের পর ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে প্রথম থেকেই সরব ছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি | গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, তাদের একাধিক কর্মী-সমর্থক হামলার শিকার হন। কারও কারও প্রাণ যায় | বেশ কয়েকজন মহিলা ধর্ষণের শিকার হন বলেও অভিযোগ | সেই অভিযোগের জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে| একাধিক পিটিশন জমা পড়ে আদালতে | হাইকোর্ট অভিযোগ খতিয়ে দেখে গত ১৮ জুন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেয় | রাজ্যের একাধিক জায়গা ঘুরে রিপোর্ট তৈরি করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন | ওই রিপোর্ট দেখে রাজ্যের বিরুদ্ধে উষ্মাপ্রকাশ করে হাইকোর্ট | পাল্টা রাজ্যের তরফে অভিষেক মনু সিংভি মানবাধিকার কমিশনের কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন | সেই মর্মে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে দাবি করা হয় | এই মামলাতেই বৃহস্পতিবার রায়দান করল কলকাতা হাইকোর্ট | সেখানে বলা হয়েছে, ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত করবে সিবিআই | বাড়ি ভাঙচুর করা, আগুন লাগানো, মারধর করা, ঘরছাড়া করার মতো অপেক্ষাকৃত কম অশান্তির ঘটনার জন্য গঠন করা হবে সিট | ৬ সপ্তাহের মধ্যে সিবিআইকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট| নির্দেশ পেয়েই তদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করল সিবিআই |

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *