তৃন্ময় বেরা, ঝাড়গ্রাম :- রেললাইনে আন্ডারপাস তৈরীর দাবিতে শনিবার সকাল থেকে রেল রোকো আন্দোলনে শামিল হল ঝাড়গ্রামের জামবনি ব্লকের গিধনী এলাকার বাসিন্দারা |শনিবার দীর্ঘক্ষণ রেললাইনে উপরেই অবস্থান বিক্ষোভ করেন তাঁরা | ফলে সকালের গিধনি স্টেশন দিয়ে রেল চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে | দূরপাল্লার বহু ট্রেন আটকে গিয়েছিল বলেই খবর| দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা অবস্থান-বিক্ষোভ চলার পর অবশেষে রেল আধিকারিকদের আশ্বাসে রেল চলাচল স্বাভাবিক হয় |
জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ছ’টা থেকে একত্রিত হয়ে গিধনি স্টেশনে রেললাইনের উপর অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন এলাকার কয়েকশো বাসিন্দা |তাঁদের অভিযোগ, গিধনি রেলস্টেশনের পূর্ব কেবিনের দিকে রেললাইন পারাপারের রাস্তা রয়েছে| সেখান দিয়েই তাঁরা মালপত্র নিয়ে রেললাইন পারাপার করেন| কিন্তু সম্প্রতি আট ফুট উঁচু পাঁচিল দিয়ে সেই রাস্তা বন্ধ করে দিচ্ছে রেল দফতর | পাঁচিল উঠে গেলে রেললাইন পারাপারে সমস্যায় পড়বে এলাকাবাসী| তাই তাঁরা পাঁচিল দেওয়ার আগে আন্ডারপাস তৈরির দাবি তোলেন এবং আন্দোলনে নামারও হুমকি দিয়েছিলেন | কিন্তু রেল দফতর সেই দাবিতে কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ | তাই পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী এদিন রেল অবরোধে সামিল হন গিধনির বাসিন্দারা | আন্ডারপাস তৈরির পাশাপাশি মোট সাত দফা দাবি নিয়ে রেল রোকো আন্দোলন শুরু করেন গিধনিবাসী| তাঁদের দাবিগুলো হলো , সাঁতরাগাছি ঝাড়গ্রাম লোকালটি গিধনী পর্যন্ত চালাতে হবে, লোকাল ট্রেনের পরিষেবা পুনরায় চালু করতে হবে, স্টিল ও ইস্পাত এক্সপ্রেসের স্টপেজ দিতে হবে , লোকাল ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধি করা যাবে না এবং রেলের বেসরকারিকরণ করা যাবে না এই সকল দাবিকে সামনে রেখে রেল রোকো আন্দোলন শুরু করেছে গিধনীর বাসিন্দারা | গিধনীর স্টেশন ম্যানেজার বি এন মুর্মু বলেন , বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি| আন্দোলনের ফলে দূরপাল্লার বহু ট্রেন আটকে পড়ে | আন্দোলনকারীদের ট্রেন ছেড়ে দেওয়ার জন্য বহুবার অনুরোধ করলেও তাঁরা শোনেননি |’ অবশেষে বেলা ১১টা নাগাদ রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন | গিধনি স্টেশনে অবিলম্বে আন্ডারপাস তৈরির আশ্বাস দেন | ওই আশ্বাস পেয়েই অবরোধ ওঠে | ধীরে ধীরে রেল চলাচল স্বাভাবিক হয় |