প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- বালির তপন দত্ত খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা | প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করলেন মূল অভিযুক্ত ষষ্ঠী গায়েন | তার নাম চার্জশিটেও রয়েছে, সপ্তাহ খানেক আগে তপন দত্ত খুনের মামলায় সিবিআই তদন্ত নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা | প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই সপ্তাহেই এই মামলার শুনানি হতে পারে | তপন দত্ত খুনের মামলায় বিচারে দেরির জন্য আদালত রাজ্য সরকার ও অভিযুক্তদেরই কাঠগড়ায় তুলেছে | এইদুপক্ষই এই দেরির জন্য দায়ী বলে মত আদালতের | বিস্তারিত শুনানির পর আদলতের সন্দেহ এই খুনের পিছনে শত্রুতা এবং ষড়যন্ত্র কাজ করেছে | নিহত ব্যক্তি একটা বড় আর্থিক অথবা রাজনৈতিক ফায়দা আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন | যাঁদের পথে তিনি কাঁটা হয়েছিলেন, তাঁরা রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী এবং তাঁদের প্রভাব যথেষ্ট | সে কারণেই স্বচ্ছ এবং কার্যকর তদন্ত প্রয়োজন |আদালতের মতে, এই খুনের পিছনে প্রভাবশালীদের হাত খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে পুলিস এবং তদন্তকারী সংস্থার ওপর প্রবল চাপ ছিল| আর তাই কিছু লোকের পৈশাচিক কার্যকলাপ প্রকাশ্যে আনা যায়নি | তাই এই খুনের সঠিক তদন্ত ও বিচারের জন্য নতুন এজেন্সিকে দায়িত্ব দেওয়া প্রয়োজন | যা মৃতের পরিবার এবং নাগরিক সমাজকে ভরসা জোগাতে পারবে | সেই কারণেই আদালত এই মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় | যদি প্রয়োজন হয়, সিবিআই নতুন করে তদন্ত করবে |প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ৬ মে খুন হন তপন দত্ত | খুনের দিন রাতে বাড়ি ফিরছিলেন তপন দত্ত | সেখানে রেলগেটের কাছে তাঁকে গুলি করে খুন করা হয় | তারপর থেকেই এই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত ও সিবিআইয়ের দাবিতে দীর্ঘ ১১ বছর লড়াই চালিয়ে এসেছেন তাঁর স্ত্রী প্রতিমা দত্ত | সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় তিনি জানিয়েছিলেন, এবার আশা করি দোষীরা শাস্তি পাবে | তপন দত্ত খুনের পর রাজ্যজুড়ে হইচই পড়ায় সিআইডি তদন্তভার নেয় | প্রথম দফায় অভিযুক্তদের নামে যে চার্জশিট দেওয়া হয়, তাতে হাওড়ার এক মন্ত্রীর নাম ছিল| তার পরেই সাপ্লিমেন্টারি একটি চার্জশিট জমা পড়ে আদালতে | আশ্চর্যজনক ভাবে সেখান থেকে ওই মন্ত্রীর নাম উধাও হয় | প্রতিমাদেবী হাইকোর্টে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান এবং মামলা চালিয়ে যেতে থাকেন |