দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- রাত পোহালেই রবিবার পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন| পুরসভা নির্বাচনের পর জিটিএ নির্বাচন পাহাড়ে অত্যম্ত গুরুত্বপূর্ণ | কয়েকদিন ধরে মিটিং–মিছিল, পথসভা করে প্রস্তুতি নিয়েছে পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলি | বিমল গুরুংয়ের অনশন, জিএনএলএফ এর আদালতের কড়া নাড়ার পর এবার পাহাড়ে হচ্ছে জিটিএর নির্বাচন | আগামিকাল ২৬ জুন জিটিএর ৪৫ আসনে ভোট নেওয়া হবে | এর জন্য আজ প্রস্তুতি তুঙ্গে | কালিম্পং, কার্শিয়াং ও দার্জিলিংয়ের ডিসিআরসি সেন্টারগুলিতে থেকে ভোটের সরঞ্জাম বিলি করা হচ্ছে | পাহাড়ে জিটিএর ক্ষমতায় কে, এনিয়ে নজর রয়েছে সব দলের | দার্জিলিং সফরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিটিএ নির্বাচনের কথা বলেছিলেন, এর বিরোধিতা করে অনশনে বসেছিলেন বিমল গুরুং |এবার নির্বাচনে নেই বিজেপি ও জিএনএলএফের মতো দলগুলি | কিন্তু উল্লেখযোগ্য যেসব দল এবার লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে তারা হল অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি | গত পুরসভা নির্বাচনে ভালো ফল করেছিল হামরো পার্টি | এছাড়া রয়েছে অনিত থাপার দল | নির্দলরাও প্রায় ২০০ বেশি প্রার্থী | এর পাশাপাশি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বিনয় তামাং | পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের দাবিতে আগে থেকেই এই নির্বাচনের বিরোধিতা করছে বিমল গুরুংয়ের দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা | এ দাবিতে অনশনেও বসেছিলেন মোর্চা প্রধান-সহ দলের কর্মী-সমর্থকেরা | জিটিএ নির্বাচনে তাঁরা ভোট দেবেন না বলেও সাফ জানিয়েছেন গুরুং-সহ মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি | শনিবার তিনি বলেন, ‘‘আমি বা বিমল গুরুং কেউ ভোট দেব না | আমরা জিটিএ নির্বাচনে বিরুদ্ধে | দলের কর্মী-সমর্থকদের কারা ভোট দেবেন বা দেবেন না, সেটা তাঁদের বিষয় | তবে রবিবার আমরা ভোট দিতে যাব না |’’ মোর্চা নেতৃত্ব ভোট বয়কট করলেও দলের কর্মী-সমর্থকেরা নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়ালে সমর্থন করবে বলে সূত্রের খবর | যদিও প্রকাশ্যে সে কথা জানানি তাঁরা | এবার পাহাড়ের নির্বাচনে রয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা| এবার ৪৫ আসনের জন্য লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন ২৭৭ প্রার্থী, এর মধ্যে ২১০ প্রার্থীই নির্দল | অনিত থাপার বিজিপিএম এবার দিয়েছে ৪৫ প্রার্থী | হামরো পার্টিও দিয়েছে ৪৫ প্রার্থী | তৃণমূলের তরফে মনোনয়ন দিয়েছেন ১০ জন | সিপিএম দিয়েছে ১২ প্রার্থী | মোট ৯২২টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হবে | ভোট দেবেন ৭ লাখ ৩২ হাজার ভোটদাতা | এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এখানে মোট ১৮৯টা ভোটদানকেন্দ্র রয়েছে| প্রতি বুধে ছ’জন করে ভোটকর্মী যাবেন। সঙ্গে অতিরিক্ত কর্মী রিজার্ভে রয়েছেন | প্রয়োজনে পরিস্থিতি অনুযায়ী তাঁদের কাজে লাগানো হবে | সব মিলিয়ে দেড় লাখের বেশি কর্মী রয়েছেন |”