দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- কাকুর বিরুদ্ধে অভিযোগ। অভিযোগ, ভাইপোকে অপহরণ করে খুন করেছে সে। নাবালকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। পুলিশের জালে অভিযুক্ত। নাবালকের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ছাত্র বেলোয়ার হোসেন শেখ রোজকার মতো স্কুলে গিয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরেনি ছাত্রটি। তখন সবাই খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। ৯ বছরের খুদে পড়ুয়া নিখোঁজ নিয়ে তোলপাড় হয়ে যায় পূ্র্ব বর্ধমানের পাটকেলডাঙা গ্রামের বাসিন্দারা। পরে পুলিশের সাহায্যে বেলোয়ারের দেহ মেলে একটি কবরস্থান থেকে।পুলিশ সূত্রে খবর, ছাত্র নিখোঁজের ঘটনায় পরিবার স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তখন ওই ছাত্রের পরিবারকে স্কুলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ছাত্রটির সঙ্গে দেখা করতে স্কুলে গিয়েছিল তার কাকা আবু শেখ। এখানেই সন্দেহ তৈরি হয়। এরপরই পুলিশে গিয়ে গোটা ঘটনা লিখিতভাবে অভিযোগ করা হয়। তখনই তদন্তের স্বার্থে আবু শেখকে আটক করে পুলিশ। রাত ২টো পর্যন্ত চলে দফায় দফায় জেরা। তারপর কবরস্থান থেকে উদ্ধার হয় বেলোয়ারের দেহ। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।এই প্রশ্ন নিয়ে তদন্তে নামতেই পুলিশ মৃত ছাত্রের মামার কাছ থেকে জানতে পারেন, অভিযুক্ত আবু শেখের সঙ্গে এলাকার এক আদিবাসী মহিলার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ওই মহিলার একটি কন্যা সন্তানও আছে। আবার ওই আদিবাসী মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় মৃত ছাত্র বেলোয়ারের বাবার। তা নিয়েই দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। কিন্তু কয়েকদিন আগে ভাইয়ের প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যান বেলোয়ারের বাবা। তারই প্রতিশোধ নিতে কাকা খুন করে ভাইপোকে।স্থানীয়দের অনুমান, এই সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণেই প্রতিহিংসার বলি হয়েছে ওই ছাত্রের। যদিও এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ আধিকারিকরা। জেরা করা হচ্ছে অভিযুক্তকে। শিশুর এই পরিণতিতে কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা।