দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- কলকাতা পুরসভার শূন্যপদে নিয়োগ ও পুরসভার সমস্ত স্কুল ফের চালু করার দাবিতে বামে ছাত্র যুবকের পুরসভা ভবন অভিযানে ধুন্ধুমার বাঁধল ধর্মতলায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশের একের পর এক ব্যরিকেড ভেঙে এগিয়ে যান বিক্ষোভকারীরা।কলকাতা পুরসভায় ২৯ হাজার শূন্যপদে অবিলম্বে স্থায়ী ও স্বচ্ছ নিয়োগ ও ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে বন্ধ হয়ে যাওয়া কর্পোরেশনের স্কুলগুলি অবিলম্বে চালু করার দাবিতে বৃহস্পতিবার বিক্ষাভ মিছিলের ডাক দেয় বাম ছাত্র যুব সংগঠন।একাধিক ব্যারিকেড তৈরি করে গোটা পুরসভা ঘিরে তৈরি করা হয় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়। একাধিক অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারকে নিরাপত্তাবলয় তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিউ মার্কেটের দিক থেকে বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের মিছিল পুরসভার দিকে এগোতে গেলে পুলিশ ব্যারিকেডে তারা আটকে যায়। এসএফআই, ডিওয়াইএফআই, এআইএসএফ কর্মী-সমর্থকেরা বলপূর্বক ব্যারিকেড ভেঙে দিলে শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। এলিট সিনেমা হলের দিক থেকে আরও একটি মিছিল পুরসভার দিকে এগোতে গেলে পুলিশ তাদের গতি রোধ করে। স্থায়ী ব্যারিকেড ধাক্কা দেওয়ার পাশাপাশি পুলিশকর্মীদের গায়ে হাত তোলার চেষ্টা করে। যদিও পুলিশ ফের এদি ধৈর্য্যের পরীক্ষা দেয়। দীর্ঘক্ষণ সেখানে চলে বিক্ষোভ।এদিনের কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, কলতান দাসগুপ্তরা। মীনাক্ষী বলেন, ‘চাকরি না পেয়ে গোটা রাজ্যে যা রাগ ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তা দেখে ভয় পাচ্ছে। সেই কারণে পুলিশকে সামনে রেখে বাঁচতে চাইছে। ওরা এই ভয়ের আগুন থেকে বাঁচতে পারবে না।’এদিনের বাম-ছাত্র যুব সংগঠনের কর্মসূচির প্রভাব পড়ে জনজীবনে। নিউ মার্কেট ও পার্শ্ববর্তী এলাকার দোকান বন্ধ হয়ে যায়।বৃহস্পতিবার ধর্মতলা ও লাগোয়া এলাকায় ব্যস্ত সময়ে প্রবল যানজট তৈরি হয়। পুজোর বাকি আর মাত্র ১৫দিন। মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানের দরুন পুজোর কেনাকাটায় মন্দা দেখা দেওয়ার পর ফের বৃহস্পতিবার ধর্মতলা চত্বরে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal