দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-গাড়ির পর ফ্ল্যাটেও বিপুল সম্পদ পেল পুলিশ। হাওড়ার শিবপুরে উদ্ধার কোটি কোটি টাকা থেকে শুরু করে সোনা–রুপো–হিরের গয়না। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সপরিবারে গা–ঢাকা দিয়েছে শৈলেশ পাণ্ডে ও তাঁর ভাই অরবিন্দ পাণ্ডে। এখনও খোঁজ মেলেনি দুই ভাইয়ের। তাই এবার পাণ্ডে ভাইদের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করল লালবাজার।হাওড়া শহরের শিবপুর এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী শৈলেশ পাণ্ডের ৩টি বাড়ি থেকে রবিবার রাত পর্যন্ত মোট ৮ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। এর বাইরে তার ২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা ২০ কোটি টাকা ব্লকও করে দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছিল এই সব টাকার উৎস কী? শৈলেশ কী বাংলার নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত? যদিও প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারনা শৈলেশ বিদেশের কালো টাকা এখানে এনে সাদা করতেন। নিয়োগ দুর্নীতি বা গরু পাচার ও কয়লা পাচারের কোনও যোগসূত্র মেলেনি শৈলেশের টাকার সঙ্গে। তবে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মজার কথা শৈলেশের বিষয়টি নিয়ে বামেরা যতটা সরব হয়েছে ঠিক ততটাই মুখে কুলুপ এঁটেছে বিজেপি। এখন দেখার বিষয় শৈলেশের সঙ্গে গেরুয়া যোগ সূত্র উঠে আসে কিনা। তবে এই ঘটনায় পাণ্ডে পরিবারের ৩ ভাই অর্থাৎ শৈলেশ পাণ্ডে, তার ভাই রোহিত পাণ্ডে ও অরবিন্দ পাণ্ডের নামে লুকআউট নোটিস জারি করে দিল কলকাতা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, শৈলেশ পাণ্ডে পেশায় ছিলেন চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। শৈলেশ পাণ্ডে বিদেশ থেকে কালো টাকা এনে সাদা করতেন। এমনকী বিভিন্ন ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলে সেই টাকা ট্রান্সফার করিয়ে সাদা করতেন। বক্স খাটের মধ্যে লুকিয়ে রাখা আটটি ব্যাগের মধ্যে ছিল টাকা। উদ্ধার প্রচুর সোনার গয়না। শৈলেশ ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা করত। এখন সপরিবারে পলাতক ব্যবসায়ী শৈলেশ পাণ্ডে।এই বিপুল পরিমাণ টাকা এসেছিল বিদেশ থেকেই। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের নরেন্দ্রপুর শাখার দুটি কোম্পানির অ্যাকাউন্টের ওপর নজর পড়ে। সেখানে কিছু রহস্যময় লেনদেন হচ্ছিল। সেটা দেখেই সন্দেহ হয় ব্যাঙ্ক অফিসারদের। তাঁরা দুই অ্যাকাউন্ট গ্রাহককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করেন। তারপর ১৪ অক্টোবর হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তারপরই অভিযানে নামেন গোয়েন্দারা। শৈলেশের কোম্পানি খাতায় কলমে অনলাইন কোর্স, বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের ব্যবসার জন্য নথিভুক্ত।