প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- বুধবার নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বাস্তুদের জমির পাট্টা বিলি করলেন। ভূমিহীন কৃষকদের কৃষি জমির পাট্টা বিলি করলেন তিনি। পাশাপাশি মঞ্চ থেকেই আরও একবার ভূমিহীন কৃষক, উদ্বাস্তুদের অধিকারের দাবি স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন উচ্ছেদ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সাফ কথা বলেন, ‘রেল, জাতীয় সড়ক বা বিমানবন্দর নির্মাণের জন্যও গায়ের জোরে বাংলায় জমি দখলের চেষ্টা হলে স্থানীয়রা আন্দোলন গড়ে তুলুন। রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে থাকবে। সরকার এখনও পর্যন্ত আড়াই লক্ষ মানুষকে পাট্টা দিয়েছে। মেদিনীপুরের খাসমহলে দীর্ঘদিন ধরে বহু মানুষ বসবাস করেন। তাঁদের জমির অধিকার ছিল না। খড়গপুর গ্রামীণ ও শহর মিলিয়ে ১ লক্ষ লোককে পাট্টা দেওয়া হয়েছে। আগে পাহাড়ে পাট্টা দেওয়া হতো না। এখন সেখানেও পাট্টা দিচ্ছে রাজ্য সরকার।’ উচ্ছেদ–পুনর্বাসন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজও বিধানসভায় শুনলাম উড়ালপুল বা জাতীয় সড়কের জন্য জোর করে জমি নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। পাণ্ডবেশ্বরে এমন ঘটনা ঘটেছে। আমি তাই আবারও বলছি, আলোচনা না করে, পুনর্বাসন–ক্ষতিপূরণ না দিয়ে গরিবের জমি নেওয়া যাবে না। বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ করতে দেব না। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত যাঁরা ভারতে এসেছেন তাঁরা তো চুক্তি মতোই এসেছেন। সুতরাং তাঁরা সবাই ভারতের নাগরিক। কখনও কখনও ভাঁওতা দেওয়ার চেষ্টা হয় যে তাঁরা নাগরিক নন। আরে আমার ভোটে তুমি প্রধানমন্ত্রী, আর আমাকেই বলছ আমি নাগরিক নই। আমাকে এই কথা বলে তোমরা কি অসম্মান করছ না?’এদিন কেন্দ্রীয় সরকারকে নানা ইস্যুতে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘লক্ষীর ভাণ্ডার পেলেও বিধবা ভাতা পাওয়া যাবে। দুয়ারে সরকার শিবিরে আবেদন করুন। মানুষের অধিকার দিচ্ছি দেব। নিজের অধিকার ছিনিয়ে নিন। সিএএ করতে দেব না। এনআরসির নামে ভোটারদের বাদ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভুল বোঝানো হচ্ছে। ভোটার তালিকায় নাম তুলুন। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে সার দিচ্ছে না। এভাবে অসহযোগিতা করলে সার উৎপাদনের কথা ভাবতে হবে।’