দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- আজ, বুধবার রাজভবনে শপথ নিলেন নয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করালেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী। প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী ও তাঁর স্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।
এখানে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে একটা ছবি সবার চোখে পড়ে। দেখা যায়, রাজ্যপালের শপথে অনুপস্থিত রয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে সেখানে ছুটে হাজির হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।এদিন বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ রাজভবনে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন অন্যান্য মন্ত্রী, বিধায়ক, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা। নির্ধারিত সময় অর্থাৎ ঘড়ির কাঁটায় ঠিক ১০ টা বেজে ৪৫ মিনিটে রাজভবনের শপথ গ্রহণ কক্ষে উপস্থিত হন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপালকে। এরপরই অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন রাজ্যপাল। মিষ্টির হাঁড়ি দিয়ে রাজ্যপালকে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী। তবে এদিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন তিনি সেখানে যাবেন। তবে অনুষ্ঠান শুরুর কিছুক্ষণ আগে দুটি টুইট করেন তিনি। সেখানেই জানিয়ে দেন, আজকে অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না তিনি। স্পষ্টভাবে কারণও উল্লেখ করেন। জানান, দুই বিজেপি ত্যাগী বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী ও বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর পাশে তাঁর বসার ব্যবস্থা করায় যাচ্ছেন না তিনি। অর্থাৎ রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরেও তৈরি হল বিতর্ক।এদিকে শুভেন্দু অধিকারী শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান এড়াতেই কড়া ভাষায় তাঁর সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বিরোধী দলনেতার এই আচরণ অসৌজন্যের ও মিথ্যাচার বলে তোপ দেগেছেন তিনি। এই সবটাই সিবিআই ও ইডির হাত থেকে বাঁচার জন্য শুভেন্দু অধিকারীর নাটক বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি।