প্রসেনজিৎ ধর :- পুরসভার দায়িত্ব আপাতত সামলাবেন জেলাশাসক। ঝালদা পুরসভায় প্রশাসক মামলায় এমনই রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ৫ জানুয়ারি।পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় রাজ্য পুরপ্রশাসক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে গত ২ ডিসেম্বর। তা চ্যালেঞ্জ করে সোমবারই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস। সেই মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তির উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেন বিচারপতি। পাশাপাশি, সব পক্ষের হলফনামা তলব করা হয়েছে। বিচারপতি অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ, নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচনের দিন ধার্য করার দায়িত্ব ভাইস চেয়ারম্যানের। ৭ দিনের মধ্যে তাঁর এই কাজ করার কথা। ৩ ডিসেম্বর চেয়ারম্যান নির্বাচনের বিশেষ সভা গ্রহণ করার আগেই রাজ্য প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যানের পদত্যাগপত্র গৃহীত হল কিনা, সে বিষয়ে ২ ডিসেম্বরের নির্দেশিকায় কোনও উল্লেখ নেই। প্রসঙ্গত, গত ২১ নভেম্বর আস্থা ভোটে গরিষ্ঠতা হারিয়েছিল সবুজ শিবির। কংগ্রেস সমর্থন পেয়েছিল নির্দল ২ জন কাউন্সিলরের। পুরপ্রধানের পদ হারিয়েছিল সবুজ শিবির। অন্যদিকে, ওই পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় দলত্যাগ (তৃণমূল) করেছিলেন। তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়ে পরবর্তীকালে নাম লিখিয়েছিলেন হাত শিবিরে। তাঁর দলত্যাগে পুরসভার ১২ আসনে বিরোধী কাউন্সিলের সংখ্যা ৬ থেকে বেড়ে হয় ৭। মানে, জোট হয়েছে কংগ্রেস এবং নির্দল।
গত ৩ ডিসেম্বর কংগ্রেস পুরপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত করেছিল শীলা চট্টোপাধ্যায়কে। উল্লেখ্য, গত পুরসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছিল ঝালদা পুরসভায় ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। উপনির্বাচনে ওই ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছিলেন মিঠুন কান্দু। তিনি সম্পর্কে তপনের ভাইপো। কংগ্রেস শিবিরের টিকিটেই ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি।গত ২৯ নভেম্বর তিন বিরোধী কাউন্সিলর পুরপ্রধান নির্বাচনের জন্য ৩ ডিসেম্বর অর্থাৎ শনিবার দিনক্ষণ ঠিক করেন। সেই মতো সাত কাউন্সিলরের উপস্থিতি ঝালদার পুরপ্রধান পদে বসেন শীলা চট্টোপাধ্যায় । ইতিমধ্যে রাজ্যের তরফে ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপাল অ্যাক্ট ১৯৯৩, সাবসেকশন ৪, অফসেকশন ১৭ বিধি মেনে ‘অস্থায়ী’ চেয়ারম্যান হিসেবে জবা মাছোয়াড়কে নিয়োগ করা হয়। সেই নির্দেশের বিরোধিতায় কংগ্রেস উচ্চ আদালতে দ্বারস্থ হলে বিচারপতি রাজ্য় সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ জারি করল। ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বহাল থাকবে এই অন্তর্বর্তী নির্দেশ।