প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা – বিশ্বভারতীর মাঠে পৌষমেলার অনুমতি দিল না হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে ‘এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। বিশ্বভারতীই পুনর্বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে’। মামলা ফিরিয়ে দিল আদালত। মেলার জন্য বিকল্প ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পৌষমেলার জন্য মাঠ দিতে রাজি নয়। এদিকে, বিশ্বভারতীর নির্দিষ্ট মাঠে মেলা করতে চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। তারই শুনানিতে এদিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ বিশ্বভারতীর মাঠে পৌষমেলার অনুমতির আবেদন খারিজ করে দিয়ে মামলা ফিরিয়ে দেয়। এব্যাপারে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পুনর্বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে জানিয়ে দেয় আদালত। আগামী ৬ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সেদিনই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে পৌষ মেলায় মাঠ দেওয়ার ব্যাপারে লিখিত আকারে তাদের বক্তব্যের কথা জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই বক্তব্যের পরই পরবর্তী নির্দেশ দেবে আদালত। তবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যে কোনভাবেই পৌষমেলার জন্য মাঠ দিতে রাজি নয়, তা একপ্রকার স্পষ্ট। সম্প্রতি পৌষমেলা নিয়ে জেলা প্রশাসনের তরফে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসে বৈঠকটি আয়োজিত হলেও সেখানে গরহাজির ছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। পৌষ মেলা নিয়ে গত তিন বছর ধরে চরম জটিলতা তৈরি হয়েছে। নতুন উপাচার্য আসার পর থেকেই আর বিশ্বভারতীয় ঐতিহ্যবাসী কোনও অনুষ্ঠানই করা হচ্ছে না। এই নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। গত তিন বছর পৌষ মেলা আয়োজন করা হয়নি বিশ্বভারতীতে। গতবার ডাক বাংলো মাঠে স্থায়ী ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছিল মেলার। কিন্তু বিশ্বভারতীর মেলা মাঠে কোনও পৌষ মেলার আয়োজন করা হয়নি।তবে রাজ্যের তরফে এবার বিকল্প জায়গার সন্ধান ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। এদিকে বিশ্বভারতীর মাঠে পৌষমেলা হলে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন। সেক্ষেত্রে পরিবেশ দুষণের সম্ভাবনাটা থেকেই যায়। এমনটাই দাবি করেন অনেকে। গত বছরেও বিশ্বভারতীয় মাঠে মেলা করা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। শেষে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ ও বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি ডাকবাংলো মাঠে পৌষমেলার আয়োজন করেছিল। রাজ্য সরকারও এক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছিল। তবে এবার কী হবে সেটাই দেখার |