প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- প্রাইমারি টেট কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল ইডি। মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধেও চার্জশিট দিয়েছে ইডি। পাশাপাশি, ইডির পেশ করা চার্জশিটে তাপস মন্ডল সহ আরও ২ সংস্থার নাম রয়েছে বলেও সূত্রের খবর। মোট ৬ জনের নামে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে চার্জশিট জমা দেয় ইডির তদন্তকারীরা। চার্জশিটে মানিককেই দুর্নীতির মূল চক্রী বলে উল্লেখ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। চার্জশিটে নাম রয়েছে মানিকের স্ত্রী ও ছেলেরও। গ্রেফতারির ৫৭ দিনের মাথায় মানিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে চলেছে ইডি। আর্থিক প্রতারণা আইন অনুসারে গ্রেফতারির ৬০ দিনের মধ্যে চার্জশিট দিতে হয়।সূত্রের খবর, চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য অফলাইন রেজিস্ট্রেশন, অনলাইন ক্লাস ও ডিএলএড প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশনের নামে কোটি কোটি টাকা সরিয়েছেন। টাকা গিয়েছে মানিকের ছেলের কোম্পানিতে। চার্জশিটের সঙ্গে সাক্ষীদের বয়ানও আদালতে পেশ করতে চলেছে ইডি। গত নভেম্বরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রথম চার্জশিট দেয় ইডি। সেখানে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম চক্রী হিসাবে মানিকের নাম উঠে আসে। পার্থর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সূত্র ধরে কোটি কোটি টাকা তিনি সরিয়েছেন বলে জানানো হয়। এর পর গ্রেফতার হন মানিক। এবার তার বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণা আইনের ৪৪ নম্বর ধারায় চার্জশিট দিতে চলেছে ইডি। হেফাজতের মেয়াদ শেষে এদিন মানিককে ফের আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে জামিনের আবেদন করেন মানিক। কিন্তু ইডি জানায় এই দুর্নীতিতে এখনো পর্যন্ত ৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এসেছে। ফলে অভিযুক্তকে হেফাজতে রেখেই তদন্ত চালানো প্রয়োজন।১০ অক্টোবর ম্যারাথন জেরার পর মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে ইডি। সেদিন দুপুর ১ টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন মানিক ভট্টাচার্য। সেখানেই সারারাত জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে মঙ্গলবার ভোরে প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতিকে গ্রেফতার করে তদন্তকারী আধিকারাকিরা। বয়ানে অসঙ্গতি ও তদন্তে সহযোগিতা না করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। গ্রেফতারির আগে মানিক ভট্টাচার্যের দুটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। বেপাত্তা মানিকের নামে লুক আউট নোটিসও জারি করেছিল।