প্রসেনজিৎ ধর, হুগলি :- শব্দের দৌরাত্ম্যে প্রাণ ওষ্ঠাগত ডানকুনিবাসীর। পথে বেরোলেই কানে আসবে মাইকের শব্দ।সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ধর্মীয়— যে কোনও অনুষ্ঠানেই মাইক বাঁধা হয়। চার দিকে চার রকম অনুষ্ঠানের আওয়াজ, গানে রীতিমতো কাহিল অবস্থা মানুষের। পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা নড়েচড়ে বসলে সাময়িক ভাবে কয়েক দিন শব্দের দাপট কমে। পুলিশি নজরদারি কমে গেলে ফের শুরু হয় তাণ্ডব।
আর তাই শব্দ দূষণ রোধে মাইক ব্যবসায়ীদের নিয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করল ডানকুনি থানা। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডানকুনি থানার উদ্যোগে আয়োজিত এই আলোচনা সভার মূল বিষয়বস্তু হল মহামান্য গ্রিন ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক শব্দ দূষণ বিষয়ক নির্দেশাবলী। এই আলোচনাসভায় ডানকুনি এলাকার মাইক-বক্স ব্যবসায়ীদের মাত্রাতিরিক্ত শব্দ বাজাতে নিষেধ করা হয়। মূলত ৬৫ ডেসিবলের মধ্যে শব্দের মাত্রা রাখার নির্দেশ দেন ডানকুনি থানার পুলিশ কর্তারা। এলাকাবাসী জানান,ডানকুনি শহরের রাস্তাগুলির দিকে চোখ রাখলেই দেখা যায় মাইক বাঁধা। বছরভর এ ভাবেই চলে। শীতের সময়ে তা আরও বাড়ে। যে কোনও অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তারা রাস্তার ধারে মাইক বেঁধে প্রচারে নেমে পড়েন।
শব্দ দূষণের জেরে পথেঘাটে অনেক সময়ে মোবাইলে কথা বলতে সমস্যা হয়। বেশিক্ষণ শব্দের দাপটের মধ্যে থাকলে শারীরিক-মানসিক অস্বস্তি হয় বয়স্ক মানুষ, শিশুদের। যানবাহনের হর্নও পথচারীরা শুনতে পান না। নির্দেশাবলী অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সকলকে সতর্ক করা হয় ডানকুনি থানার তরফে |উপস্থিত ছিলেন ডানকুনি পৌরসভার পৌর প্রধান ও উপ পৌর প্রধান ডানকুনি থানার ইনিস্পেক্টর ইনচার্জ তাপস সিনহা |
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal