দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে উদ্দেশ করে কুকথা বলার অভিযোগে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির বিরুদ্ধে দায়ের জনস্বার্থ মামলা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বাদ দিতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার এই নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ।রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর উদ্দেশে কুরুচিকর মন্তব্য করে আইনি বিপাকে পড়েছেন তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি। তাঁর মন্তব্যের বিরোধিতায় কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা চলছে।মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু সোমবার মামলার শুনানিতে তাঁর আইনজীবী যুক্তি দিয়ে বলেন, তাঁর মক্কেলকে পার্টি করার কোন কারই নেই।
তিনি উপযুক্ত পার্টি নন। এতে আপত্তি জানাননি মামলাকারী। এরপরই আদালতের নির্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর নাম বাদ পড়ল ওই মামলা থেকে। গত ১১ নভেম্বর নন্দীগ্রামে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করতে গিয়ে দেশের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতির দ্রৌপদী মুর্মুর উদ্দেশে কুরুচিকর মন্তব্য করেন রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি। সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অখিল গিরির অপসারণের দাবিতে সরব হয় বিরোধীরা। কিন্তু তেমন কোনও পদক্ষেপ করেননি মুখ্যমন্ত্রী। অখিল গিরিকে মৌখিকভাবে সতর্ক করেই নিস্তার দেয় দল। এর পর গত ১৪ নভেম্বর অখিল গিরির বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। সেই মামলায় পক্ষ করা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মামলাকারীর দাবি ছিল, যেহেতু অখিলবাবু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য তাই তাঁর মন্তব্যের দায় বর্তায় মুখ্যমন্ত্রীর ওপরেও।সোমবার সেই মামলার শুনানিতে পালটা আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী। এই মামলার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও যোগাযোগ নেই বলে দাবি করেন তিনি। এর পর আদালত জানায়, এই মামলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যুক্ত করার মতো কোনও আইনি যুক্তি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে তাঁকে নিষ্কৃতি দেওয়া হোক।