দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- গান্ধীজীর মৃত্যু দিবসে আলিপুর জেল মিউজিয়ামে মহাত্মা গান্ধীর শহীদ দিবস উপলক্ষে মাল্যদান করলেন ফিরহাদ হাকিম। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিলেন মন্ত্রী ও কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ফিরহাদ হাকিম ।মিড ডে মিল দেখতে কেন্দ্রীয় দল এ রাজ্যে আসা প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, আসবে দেখুক। আমিও বলেছি আমার ওয়ার্ড-এ একটা মিড ডে মিল সেন্টার আছে সেটাও এসে দেখে যাক। তাহলে ওরা শান্তি পাবে।মিড ডে মিল প্রকল্পের পর্যালোচনা করতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের রাজ্য সফরের প্রথম দিনেই জমে উঠল শাসক – বিরোধী তরজা। মিড ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগে সাত সকালে সরকারকে বিঁধলেন বিজেপির সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বেলা বাড়তে না বাড়তে অভিযোগ খারিজ করে পালটা বিরোধীদের দিকে চক্রান্তের অভিযোগ করলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।এদিন সকালে মর্নিং ওয়াক করতে বেরিয়ে দিলীপবাবু সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওরা মিড ডে মিলে মাংস – ফল খাওয়ানো বন্ধ করার সুযোগ খুঁজছিল। যেমন সারদা নারদা টাকা দিতে শুরু করার পর তদন্তের শুরুর অছিলায় সেটা বন্ধ করে দিল। একাধিক প্রকল্প হাওয়ায় ভাসিয়ে দিয়েছে। জানত, এই সব প্রকল্পে গন্ডগোল ধরা পড়বে। তখন তদন্তের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে পালাবে। তদন্ত চলুক।
ভয় কী? আপনি বলেছিলেন, মিড ডে মিলে মাংস-ভাত খাওয়াবেন। কোথাও বলেছিলেন টিকটিকি আর সাপের মাংস খাওয়াবেন?’জবাবে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে একটা মিড ডে মিল সেন্টার আছে। সেটাও এসে দেখে যাক তাহলে ওরা শান্তি পাবে। কিছু মানুষ বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা করছে। খাবারের মধ্যে সাপ, ইদুর ফেলে ছবি তোলে আর তাতে সেন্ট্রাল গভমেন্ট নাচতে থাকে। ভাবছে হয়তো এই ইদুর আর ছুঁচোর ছবি দেখিয়ে ২০০ পার করবে। যেখানে মোদী, অমিত শাহ কিচ্ছু করতে পারলো না সেখানে একটা ইদুর – ছুঁচো পার করতে পারবে? আশায় মরে চাষা সেরম আশায় মরছে বিজেপি’।তাঁর দাবি, ‘আমরা দেখেছি যে এই রান্নাগুলো যারা করে তাদের বাচ্চারা ওই স্কুলে পড়ে সেই খাবার খায়। কোন মা চাইবে যে তার সন্তানের ক্ষতি হোক? এগুলো চক্রান্ত করে ছবি তুলে কিছু মানুষজন এগুলো করে। সেন্ট্রাল টিম যেখানেই যাক আমাদের এখানে পুরোটাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে হয়। অন্যান্য রাজ্যের মতো নয়। আমরা দেখেছি যোগীর রাজ্য এসব হয়। নোংরা করে রান্না করা হয়। আমাদের এখানের এক্সপেরিয়েন্স গুলো ওখানে গিয়ে শেয়ার করুক’।