দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেটে রেলের জন্য বরাদ্দ বাড়িয়ে করা হল ২.৪০ লক্ষ কোটি টাকা। বুধবার সংসদে বাজেট বক্তব্যে এই ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে রেল বাজেটে যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল, তার চেয়ে এবার ৯ গুণ বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হল। গত এক দশকের মধ্যে এবারই বাজেটে রেলের জন্য বরাদ্দ সবচেয়ে বেশি। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেটে রেলের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল, এবার তার ৪ গুণ বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশজুড়ে পরিবহণের ক্ষেত্রে ১০০টি গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো সংক্রান্ত প্রকল্পের জন্য ৭৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। এর মধ্যে রেলের পরিকাঠামো সংক্রান্ত প্রকল্পও রয়েছে। ফ্রেট করিডোরের ক্ষেত্রেও অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে। বরাবরই কেন্দ্রীয় বাজেটে রেলের উপর জোর দেওয়া হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রেলমন্ত্রী আলাদা করে এখন আর বাজেট পেশ করেন না। তবে রেল বাজেটের গুরুত্ব কমেনি। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত যতবার বাজেট পেশ করা হয়েছে, তার মধ্যে এবারই রেলের জন্য সবচেয়ে বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হল।নির্মলা সীতারমণ বুধবার যে বাজেট পেশ করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে পুরাতন আয়কর কাঠামো কার্যত একই থাকছে। ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ের ক্ষেত্রে কোনও আয়কর লাগবে না। কিন্তু ৩ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ, তারপর ৯ লক্ষ পর্যন্ত ১০ শতাংশ, ১২ লক্ষ পর্যন্ত ১৫ শতাংশ, ১৫ লক্ষ পর্যন্ত ২০ শতাংশ ও ১৫ লক্ষের বেশি হলেই ৩০ শতাংশ কর লাগবে। নতুন আয়কর কাঠামোর ক্ষেত্রে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কোনও করছাড় নেই, কর লাগবেও না। ৭ লক্ষের পরে কিন্তু কর লাগবে।
৭ লক্ষ টাকা থেকে ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে ৪৫ হাজার টাকা কর দিতে হবে। তারপর পুরাতন আয়করের কাঠামো নেনেই আয়কর দিতে হবে। ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়ে আয়কর ছাড় পাবেন বয়স্করা। প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে আয়কর ছাড় ছিল ১৫ লক্ষ টাকা। সেটা করা হয়েছে ৩০ লক্ষ টাকা। কিন্তু এটাও ঘটনা দেশের বেশির ভাগ মানুষ কিন্তু পুরাতন আয়কর কাঠামোই মেনে চলেন। নতুন আয়কর কাঠামোতে খুব কম মানুষই এসেছেন। নির্মলার এদিনের ঘোষণার পরে দেশের কতজন মানুষ নতুন আয়কর কাঠামো মেনে নেন সেটা দেখার জন্য আগামী ১ বছর অপেক্ষা করতেই হবে।