Breaking News

এক ধাক্কায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমল প্রায় চার লক্ষ!এবার ক’জন বসবেন পরীক্ষায়?

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- গত বছরের তুলনায় এবছরের মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমল প্রায় চার লক্ষ।  গত বছর যেখানে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫ জন। সেখানে চলতি বছরের মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৬২৮ জন।  তাদের মধ্যে ছাত্র রয়েছে ২ লাখ ৯০ হাজার ১৭২ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৩ লাখ ৫৬ হাজার ২১। গতবছর রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লাখ ৯৮ হাজার ৭৭৫। সেই তুলনায় এই বছর অনেকটাই কমেছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।মোট ২ হাজার ৮৬৭টি পরীক্ষাকেন্দ্রে এবারে অনুষ্ঠিত হবে মাধ্যমিক পরীক্ষা। নজরদারির দায়িত্বে থাকছেন ৪০ হাজার পরীক্ষক। এদিকে প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন করা থাকবে। থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা। প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে আরও অনেক পদক্ষেপই করা হয়েছে এবার। পরীক্ষার দিন সকাল ৮টা থেকে বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রগুলি থেকে তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করবে পর্ষদ। পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ১৭-১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পুরো মডেলের ট্রায়াল চলবে। মাধ্যমিকের পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে অভিভাবকরা প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি।এদিকে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুলে গিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। সংসদের তরফে আরও জানানো হয়েছে, প্রয়োজনে অ্যাডমিট কার্ডে সংশোধনের জন্য ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবেদন করা যাবে। অ্যাডমিট কার্ডগুলি বণ্টনের জন্য শিবিরের আয়োজন করেছে পর্ষদ। ১৩ ফেব্রুয়ারি, সোমবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ওই শিবিরগুলি থেকে নিজেদের স্কুলের পরীক্ষার্থীদের জন্য অ্যাডমিট কার্ডগুলি সংগ্রহ করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষকরা। এর পর ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে তা পরীক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রয়োজনী সংশোধনীর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। এরপর থেকে আরও কোনও আবেদনপত্র গৃহীত হবে না।

এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু। চলবে ৪ মার্চ পর্যন্ত।পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অতিমারীর কারণে এই পড়ুয়ারা অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে থাকাকালীন ক্লাসরুম শিক্ষা থেকে অনেকাংশে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা মনে করি, ক্লাসরুম শিক্ষা অত্যন্ত জরুরি। আমি এখনও সম্পূর্ণ পর্যালোচনার বা শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ পাইনি। তবে, আমার মনে হয়, হতে পারে অতিমারীর কারণে দীর্ঘ সময় ক্লাসরুম শিক্ষা নিয়ে যে প্রতিবন্ধকতা ছিল তারই একটা প্রভাব আমরা দেখতে পাচ্ছি।’’ এছাড়া, ২০১৭ সালে ভর্তির নির্দেশিকায় বয়সসীমায় একটি ছাড়ের শর্ত না থাকায় অনেক পড়ুয়া ভর্তি হতে পারেনি। সেই প্রসঙ্গ টেনে সভাপতি বলেন, ‘‘আমরা জানতাম, এবছর সেটার একটা প্রতিফলন ঘটবে। কারণ ২০১৭ সালে যারা ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিলেন, তাঁরাই এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।’’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *