Breaking News

বোটানিক্যাল গার্ডেনে নিরাপত্তারক্ষীর ‘তাড়া’ খেয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ,গভীর রাতে উদ্ধার দেহ!

দেবরীনা মণ্ডল সাহা,কলকাতা :- বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়েছিলেন তিন তরুণ। তাঁদের মধ্যে দু’জন উঠে আসতে পারলেও তলিয়ে গেলেন তৃতীয় জন। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটে নাগাদ। রাত পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়েও ওই তরুণের সন্ধান মেলেনি। অভিযোগ, তিন বন্ধু মিলে বোটানিক্যাল গার্ডেনে বসে নেশা করার সময়ে উদ্যানের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের তাড়া করেন। সেই সময়ে ভয় পেয়ে দৌড়ে পালাতে গিয়ে তাঁরা ওই কাণ্ড ঘটান। যদিও রক্ষীদের তাড়া খেয়েই তিন বন্ধু গঙ্গায় ঝাঁপ দেন, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উদ্যান কর্তৃপক্ষ। পরিবারের দাবি, প্রসেনজিৎ মাজি (১৮) ও সোনু মাজি নামে দুই যুবক গঙ্গার ঘাটে বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সময় বি গার্ডেনের কিছু নিরাপত্তারক্ষী তাঁদের তাড়া করে। সেইসময় পালাতে গিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন দু’জন। এঁদের মধ্যে এক জন সাঁতরে পাড়ে উঠতে পারলেও প্রসেনজিৎ উঠতে পারেননি। বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত বি গার্ডেনের ১ নম্বর গঙ্গার ঘাটের কাছ থেকে লঞ্চ নিয়ে প্রসেনজিতের খোঁজে গঙ্গায় তল্লাশি চালায় বি গার্ডেন থানার পুলিশ -সহ হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ কর্তারা। গভীর রাতে উদ্ধার হয় প্রসেনজিতের দেহ।রাতে বি গার্ডেনের ঘাটে গিয়ে কান্না ভেঙে পড়েন প্রসেনজিতের বাবা বাবলু মাজি। তিনি বলেন, ‘‘বিকেল থেকে ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছে না শুনে ওকে ফোন করে দেখি ফোন বন্ধ। বি গার্ডেনের ১ নম্বর ঘাটের কাছে ছুটে এসে দেখি ওখানে ওর জুতো জোড়া পড়ে রয়েছে। জানতে পারি, অন্যান্যদিনের মতো এদিনও দুপুরে আমার ছেলে বি গার্ডেনের ১ নম্বর ঘাটে এসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিল। হঠাৎই বি গার্ডেনের কিছু নিরাপত্তারক্ষী আমার ছেলে ও ওর বন্ধুদের তাড়া করে।

আমার ছেলে ও ওর এক বন্ধু গঙ্গায় ঝাঁপ দেয়।”যদিও নিরাপত্তারক্ষীদের তাড়াতেই গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়েছেন তিন তরুণ, এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন বটানিক্যাল গার্ডেনের যুগ্ম-অধিকর্তা দেবেন্দ্র সিংহ। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনাটি উদ্যানের মধ্যে ঘটেনি। ঘটেছে আমাদের এলাকার বাইরে। আমাদের রক্ষীরা বাইরে গিয়ে কাউকে তাড়া করেন না। তবে মাঝেমধ্যে উদ্যানে অসামাজিক কাজ চলায় তাঁদের ব্যবস্থা নিতে হয়। এ দিনের ঘটনার সঙ্গে তাঁরা কোনও ভাবেই জড়িত নন।’’ হাওড়া সিটি পুলিশের এসিপি মৃত্যুঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা লঞ্চ নিয়ে তল্লাশি শুরু করি। ডুবুরিকেও খবর পাঠানো হয়।” পুলিশ জানিয়েছে, আকাশ ও সোনুকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারপরেই পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *