দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ফ্ল্যাট বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটির ২ শতাংশ ছাড়ের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। স্ট্যাম্প ডিউটির পাশাপাশি জমি, বাড়ির বাজারমূল্যের সার্কল রেটের ১০ শতাংশ ছাড়ের মেয়াদও বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার বিধানসভায় বাজেট পেশের সময় এই ঘোষণা করেন রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ছাড় থাকবে।গত বাজেটেও জমি-বাড়ি দলিল রেজিস্ট্রেশনে বিশেষ ছাড় দিয়েছিল রাজ্য সরকার। আবাসন শিল্পকে চাঙ্গা করতে, ফ্ল্যাট-জমি কেনাবেচা বাড়াতে রেজিস্ট্রেশন ও স্ট্যাম্প ডিউটিতে বিরাট ছাড় দেওয়া হয়েছিল। জমি-বাড়ির স্ট্যাম্প ডিউটিতে ২ শতাংশ ও সার্কেল রেটে ১০ শতাংশ ছাড় দিয়েছিল রাজ্য সরকার। প্রচুর ছোট ফ্ল্যাট ও জমি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে রাজ্যে। সেই ছাড়ের মেয়াদ মার্চেই শেষ হয়ে যেত।
এবার সেই ছাড়ের মেয়াদ ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হল। এদিন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, স্ট্যাম্প ডিউটি কমানোয় ৩০ হাজারের বেশি ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছে, যা দেশের মধ্যে রেকর্ড গড়েছে।বাজেটে রাজ্য জানায়, যে হারে স্ট্যাম্প ডিউটি দেওয়া হয় সেই স্ট্যাম্প ডিউটির হার ২ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব হয়। আগে রাজ্যের শহর এলাকায় ৬ শতাংশ হারে স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হয়। রাজ্য সরকারের ছাড়ের ফলে তা হয় মাত্র ৪ শতাংশ। একইভাবে গ্রামীণ এলাকার ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ হারে স্ট্যাম্প ডিউটি ২ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়। ফলে গ্রামীণ এলাকায় স্ট্যাম্প ডিউটি হয় মাত্র ৩ শতাংশ। এর ফলে শুধুমাত্র শহর নয়, জেলা, পুরসভা মিউনিসিপ্যালিটির বাসিন্দারাও আবাসন কিনলে তাদের এখন অনেকটাই আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে।উল্লেখ্য এর আগে স্ট্যাম্প ডিউটি ছাড়ের মেয়াদ বাড়িয়েছিল রজ্যের অর্থ দফতর। ২৯ ডিসেম্বর, নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয় কোভিড পরিস্থিতির কারণে রাজ্যের আর্থিক অবস্থা ধীরগতির সম্মুখীন। তাই, সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে এই ছাড়ের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২% হারে স্ট্যাম্প ডিউটি ছাড়ের মেয়াদ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় অর্থ দফতর। একইসঙ্গে ১০% সার্কেল রেট ছাড়েরও মেয়াদ বাড়ানো হয় ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। কোভিড অতিমারীর কারণে সাধারণ মানুষের পরিষেবা এবং আবাসন ক্রেতাদের সুরাহা দিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল।