প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-সকাল সকাল শহরের তিন জায়গায় হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। হানা দিল কেয়াতলা রোড এবং হাওড়াতে ব্যবসায়ীর বাড়ি। আলিপুরের এক আইনজীবীর বাড়িতেও হানা দিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। যদিও কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে দাবি করা হয়, এই সব ক’টি অভিযান একটি মামলার সূত্রে নয়। একাধিক মামলার তদন্তে চালানো হচ্ছে এই তল্লাশি অভিযান। যার মধ্যে সারদা মামলাও রয়েছে।মঙ্গলবার পিজি হাসপাতালের পিছনের একটি পাড়ায় তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। মঙ্গলবারের ওই তল্লাশি অভিযানের সঙ্গে মোবাইল গেমিং প্রতারণা কাণ্ডের যোগ রয়েছে। বুধবারের তল্লাশির সঙ্গে সেই মামলার যোগ আছে কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট করে জানানো হয়নি ইডি-র পক্ষ থেকে।ইডি সূত্রে খবর, ৬ই কিয়াতলা রোডের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। এখানেই বাস করেন অনিরুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত। আজ, বুধবার তাঁর বাড়িতেই পৌঁছন চারজন গোয়েন্দা আধিকারিক। ই–নাগেটস গেমিং অ্যাপ প্রতারণা কাণ্ডে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। এমনকী সেখানে নথিপত্র খতিয়ে দেখছেন অফিসাররা। আমির খান ও তাঁর শাগরেদরা প্রচুর ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন।
সেই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে গেমিং অ্যাপের বিপুল কালো টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে। তার সঙ্গে এই ব্যক্তি জড়িত সন্দেহে তল্লাশি।একটি দল গিয়েছে হাওড়ার জগাছা এলাকায় ও আরেকটি দল আলিপুরের বর্ধমান রোডের একটি আইনজীবীর বাড়িতে। কেন্দ্রীয় বাহিনীতে বাড়ি ঘিরে ফেলে দীর্ঘক্ষণ ধরে সেখানে চলছে তল্লাশি। যদিও এই তল্লাশি প্রসঙ্গে এখনও কোনও তথ্য দেয়নি ইডি।শোনা যাচ্ছে, এই প্রথম নয়। এর আগেও আলিপুরের বর্ধমানের রোডের ওই আইনজীবী ইডি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি পড়েছিলেন। সূত্রের খবর, চিটফান্ড মামলায় একাধিক প্রভাবশালীর হয়ে আইনি লড়াই লড়েছিলেন এই আইনজীবী। তাঁর কাছে লেনদেনের তথ্যও রয়েছে বলে অনুমান ইডি আধিকারিকদের। সেই কারণেই এই তল্লাশি। এদিন বেশ কিছু নথি দেখিয়ে ওই আইনজীবীকে জেরা করা হচ্ছে বলে খবর।