দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- স্নায়ুরোগজনিত সমস্যার কারণে মস্তিষ্কে জল জমেছিল মুকুল রায়ের। বার কয়েক সেই জল বারও করা হয়েছিল। এ বার স্থায়ী সমাধানের জন্য তাঁর মস্তিষ্কে ‘চিপ’ বসানো হল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মুকুল রায়ের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ মুকুল রায়। স্নায়ুজনিত সমস্যায় ভুগছেন তিনি। ফেব্রুয়ারির শেষদিকে চেক আপ করাতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। প্রাথমিক পরীক্ষার পর বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন প্রবীণ নেতা। তারপর ফের অসুস্থ হন তিনি। এরপরই তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়।স্নায়ুরোগের পাশাপাশি মুকুল রায়ের মাথায় জল জমেছিল বলে খবর। তাঁকে সুস্থ করে তুলতে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। মার্চ মাসে অস্ত্রোপচার দিন ঠিক করেছিলেন চিকিৎসকরা। সেই অপারেশন সফল হয়েছে বলেই জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।মস্তিষ্কে ফ্লুইডের পরিমাণ বেড়ে গেলে প্রেসার বাড়তে শুরু করে ক্রেনিয়ামের মধ্যে। এর ফলে দেহে ভারসাম্য বজায় রাখতে সমস্যা হয়। রক্তজালিকাও ছিঁড়তে শুরু করে।
তাই অবিলম্বে তা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বের করে দেওয়া হয় বা বাইপাস করে দেওয়া হয়। সাধারণভাবে বার্ধক্যজনিত সমস্যার কারণে অনেকেরই মস্তিষ্কের ভিতরে ফ্লুইডের অংশ বেড়ে যায়। যার ফলে নানা রোজকার কাজ করতে অসুবিধা হতে শুরু করে রোগীর। রবিবারই হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হবে বর্ষীয়ান নেতাকে। চিকিৎসকেদের আশা এই শান্টিংয়ের ফলে স্বাভাবিক হাঁটাচলা করতে পারবেন তিনি। সূত্রের খবর, নিউরোসার্জন এসএন সিং – এই অস্ত্রোপচার করেছেন। স্নায়ুরোগের সমস্যার কারণে ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর মস্তিষ্কে জল জমছিল। বেশ কয়েকবার সেই জল বার করা হয়। মার্চ মাসে অস্ত্রোপচার দিন ঠিক করেছিলেন চিকিৎসকরা। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে বিজেপির টিকিটে জয়ের পর মুকুল রায়কে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যানের পদ দেওয়া হয়। তবে এরপরই তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি। শুধু মুকুল রায় নয়, তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন শুভ্রাংশু রায়ও। তবে ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণা রায়ের মৃত্যুর পর শারীরিক এবং মানসিকভাবে কিছুটা ভেঙে পড়েন এই নেতা |