প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- দু’দিনের রাজ্য সফরে এসেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এই প্রথম তিনি কলকাতায় এলেন। আজ, সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সংবর্ধনা দেওয়া হল তাঁকে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে একে একে স্মারক তুলে দেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টরা |রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ধামসা-মাদলের তালে পা মেলালেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠান মঞ্চে রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেন বিশেষ উপহারও| নেতাজি ভবন ঘুরে এদিন বিকেল তিনি পৌঁছে যান নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। সেখানেই রাষ্ট্রপতির সামনে নৃত্য পরিবেশন করেন আদিবাসী শিল্পীরা। তবে তাঁরা একা নন, নৃত্যশিল্পীদের হাত ধরে ধামসা মাদলের তালে পা মেলান মুখ্যমন্ত্রীও। এমনকী ধামসাও বাজাতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে । মঞ্চে বসে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন অভিনব আমন্ত্রণ সাদরে গ্রহণ করেন দ্রৌপদী মুর্মু এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।এদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে নাচতে দেখে রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতি একসঙ্গে হাততালি দিয়ে উঠলেন। তারপরে করমর্দন করে নিজেদের আসনে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপাল। গোটা ইন্ডোর স্টেডিয়াম তখন করতালিতে ফেটে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর অন্য মেজাজ দেখে। রাষ্ট্রপতি নিজেও ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার প্রত্যন্ত আদিবাসী অঞ্চল থেকে উঠে এসেছেন। আজ সেই আদিবাসী রাষ্ট্রপতির সামনে বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, পরম্পরাকে উপস্থাপন করলেন মুখ্যমন্ত্রী।রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সম্মাননায় বক্তব্য রাখেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, শুধু কলকাতা নয়, রাজ্যের মানুষ রাষ্ট্রপতিকে কাছে পেয়ে সম্মানিত।
তিনি তুলে ধরেন বাংলার কৃষ্টি এবং সংস্কৃতির কথা।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তৃতা শুরু করেন রাষ্ট্রপতি। বাংলায় তিনি বলেন, ‘‘বাংলার ভাইবোনদের শুভেচ্ছা। জয় জহর।’’তিনি জানালেন, বেলুড় মঠে যাওয়ার জন্য তিনি উদগ্রীব। তুলে ধরেন বাংলার সংস্কৃতির কথা।বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম শোনা যায় রাষ্ট্রপতির গলায়। বলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থানে গিয়ে ভাগ্যবতী বলে মনে করেন। তুলে ধরেন ক্ষুদিরাম বসুর কথা। শহিদ ক্ষুদিরাম, বিনয়-বাদল-দীনেশকে শ্রদ্ধা জানান তিনি। বলেন, ‘‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি।’’বাংলা ভাষা আমার খুব মিষ্টি লাগে। যখন এই ভাষা শুনি মনে হয় গ্রামের আশেপাশেই আছি। এমনই এই ভাষার সুবাস।’’ বলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।