Breaking News

জি-২০ পর্যটন বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন শুরু দার্জিলিংয়ে!সম্মেলনে তুলে ধরা হবে বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতি

দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- শনিবার থেকে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন শুরু হল শিলিগুড়ির অদূরে সুকনা লাগোয়া নিউ চামটা চা বাগান পর্যটন কেন্দ্রে। তিন দিনের এই সম্মেলনে দেশবিদেশের হরেক রকমের খাবারের সম্ভার থাকছে বিদেশি প্রতিনিধি, রাষ্ট্রদূত এবং নিমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য।আজ, শনিবার থেকে দার্জিলিং জেলায় শুরু হল তিন দিনের জি-২০ সম্মেলন। চলবে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত। মোট ১৩০ জন প্রতিনিধি এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। তার মধ্যে সিঙ্গাপুর, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ওমান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতেরা হাজির থাকবেন। এই বৈঠক কার্যত G-20 Tourism’র Working Group’র দ্বিতীয় বৈঠক| আর এই বৈঠককে ঘিরেই সেজে উঠেছে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পাহাড়। শুধু তাই নয়, সম্মেলনে বিদেশি প্রতিনিধিদের সামনে পর্যটন কেন্দ্র নির্ভর ২০টি স্বল্প দৈর্ঘ্য তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে।

সম্মেলনে তুলে ধরা হবে বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতি।সম্মেলনের অতিথি আপ্যায়নে রাখার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলার আদ্যিকালের ‘ঠাকুমার রেসিপি’র সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জোড়াসাঁকোর বাড়ির, অর্থাৎ, ‘ঠাকুরবাড়ির পদ’। কাল রবিবার, ২ এপ্রিল সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের মূল বৈঠকের মধ্যে মধ্যাহ্নভোজে আরও নানা পদের সঙ্গে থাকছে বাঙালি ভোজের এ সব আয়োজন। আজ, শনিবার সকালে বিশেষ বিমানে দিল্লি থেকে জি২০ সদস্য দেশের প্রতিনিধি, নিমন্ত্রিত অতিথি, আটটি দেশের রাষ্ট্রদূত-সহ ১৫০ জনের মতো শিলিগুড়ি আসেন। তাঁদের স্বাগত জানানো হয় ডাবের জল, আম পোড়া ও গন্ধরাজ লেবুর শরবত দিয়ে। এর পরে কার্শিয়াংয়ে মকাইবাড়ি চা বাগানে ঘুরে, কারখানা দেখে, রাতে সমতলে ফিরবেন প্রতিনিধিরা। পরদিন, মূল বৈঠকের পরে, দুপুরে বিরাট খাবারের আয়োজন। আগামিকাল তাঁরা সুকনার রিসর্টে দিনভর আলোচনায় বসবেন। তাতে অ্যাডভেঞ্চার টুরিজম, টি টুরিজম, ইকোটুরিজম সহ বিভিন্ন বিষয় উঠতে পারে বলে জানা গিয়েছে। সোমবার প্রতিনিধিরা সুকনা থেকে পাড়ি দেবেন দার্জিলিং পাহাড়ে। তাঁদেরকে টয় ট্রেনে করে ঘুম স্টেশন, বাতাসিয়া লুপ ঘোরানো হবে। তাঁরা যাবেন দার্জিলিং রাজভবনে। মঙ্গলবার দুপুরে তাঁরা বিশেষ বিমানে দিল্লির উদ্দেশ্যে ফিরতি পথে রওনা দেবেন।শুক্রবার সন্ধ্যায় শীর্ষ সম্মেলনের সূচির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় পর্যটন সচিব অরবিন্দ সিংহ। তাঁর সঙ্গেই এসেছেন মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব রাকেশ বর্মা। তিনি বলেছেন, ‘‘স্থানীয় সংস্কৃতি, খাবারকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সম্মেলনের প্রতিটি ক্ষেত্রে। কেন্দ্রীয় সরকার এ বছরকে আন্তর্জাতিক বাজরা বছর ঘোষণা করেছে। বাজরার খাবারের সঙ্গে রাজ্যের বিশেষ খাবারের পদ অতিথি, প্রতিনিধিদের জন্য বাছাই করা হয়েছে।’’ সরকারি সূত্রের খবর, পর্যটন মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে চা পর্যটন কেন্দ্রের রাঁধুনিরা সংস্থার এক জন বিশেষজ্ঞের অধীনে রান্নাগুলি করছেন। এ দিন পর্যটন সচিব জানান, গুজরাত, শিলিগুড়ি, গোয়া-সহ চারটি এলাকায় পর্যটন বৈঠক হবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *