Breaking News

বিজেপি বুথ সভাপতিকে মারধর, বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে!

প্রসেনজিৎ ধর :- পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের উত্তপ্ত বাঁকুড়া। পাত্রসায়ের থানা এলাকায় বিজেপি নেতার বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ। শুক্রবার সন্ধ্যায় পাত্রসায়ের থানার বেলুট রসুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আদ্রা বুথে বিজেপির স্থানীয় বুথ সভাপতির বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি, বিজেপির বুথ সভাপতিকে কুড়ুল দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারার অভিযোগও উঠেছে। বিজেপির দাবি, এই হামলা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। বিজেপির তরফে অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে কয়েকজন দুষ্কৃতী ওই শ্যামাপদ বাউরির বাড়িতে চড়াও হয়।

এরপরেই তারা লাঠিসোটা, রড, কুড়ুল দিয়ে বিজেপি নেতাকে একের পর এক আক্রমণ করেন। বিজেপির ওই বুথ সভাপতিকে কুড়ুল দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপ মারার পাশাপাশি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ব্যাপক মারধর ও বাড়িতে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় বিজেপির বুথ সভাপতিকে প্রথমে সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় বলে জানা গিয়েছে।এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দীবাকর ঘরামি বলেন, ‘বেলুট রসুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান তাপস বারির নেতৃত্বে ১০-১২ জন দুষ্কৃতী শ্যামাপদ বাউরিকে মারধোর করেছে। ওই ঘটনা দেখলে শিউরে উঠতে হয়।’ এরপরই তিনি বহুচর্চিত বগটুই কাণ্ড ও লালন শেখের মৃত্যুর উদাহরণ টেনে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘পাত্রসায়র এলাকায় যারা এই ধরণের দুষ্কর্ম করছেন তাঁদের পরিবারের লোকেরা এঁদের শোধরানোর ব্যবস্থা করুন। আর তা না করলে লালন শেখের পরিবারের লোকেদের মতো কান্নাকাটি করতে হবে।’ যদিও এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোনওরকমভাবেই যুক্ত নয় এমনটাই দাবি তৃণমূলের। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুব্রত দত্ত জানান, ‘এটা ব্যক্তিগত বিবাদ এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোনওভাবেই যুক্ত নয়। বিজেপি মিথ্যা প্রচার করছে।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *