Breaking News

‘আই লাভ কেওড়াতলা মহাশ্মশান, কোনটা ভুয়ো’ কোনটা আসল জানাল কলকাতা পুলিশ!

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- কেওড়াতলা মহাশশ্মান নিয়ে ভুয়ো পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। সেই আপত্তিকর পোস্টের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১০ তারিখে সাংবাদিকদের সামনে, পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশের পর তৎপরতার সঙ্গে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ। তদন্তে নেমে এবার দুজনকে নোটিস পাঠানো হল পুলিশের তরফে। পাশাপাশি পোস্টটি সরিয়ে ফেলার জন্য লালবাজারের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকেও।এবার কলকাতা পুলিশ দুটি ছবিকে পাশাপাশি দেখিয়ে জানিয়ে দিল কোনটা আসল আর কোনটা নকল। ডিসিপি সাউথ এ নিয়ে টুইট করেছেন।

তিনি লিখেছেন, কেওড়াতলা মহাশ্মশান নিয়ে একটি বিভ্রান্তিকর বিকৃত ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর যাতে কোনও বিভ্রান্তি না ছড়ায় সেকারণে দুটি ছবিকে পাশাপাশি রেখে দেখানো হল। কলকাতা পুলিশের তরফেও এনিয়ে ফেসবুকে সতর্কবার্তা পোস্ট করা হয়েছে। তবে সেই ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে নেট নাগরিকরা কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।কেওড়াতলা মহাশশ্মানের ছবির উপর ‘আই লাভ কেওড়াতলা মহাশশ্মান’ লিখে কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। সেই পোস্ট নিমেষে ভাইরাল হয়ে যায়। রাজ্যের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, কেওড়াতলা মহাশশ্মানে এই ধরনের কোনও কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়নি। এমন ভুয়ো পোস্ট ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন। কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। কেওড়াতলা মহাশশ্মান যে ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত সেই ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মালা রায় নিজেই বলেন, ‘শশ্মানে এই ধরনের কোনও কাজ করা হয়নি। যে ওই পোস্ট করেছে তাকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। পুলিশ ব‌্যবস্থা নিচ্ছে।জানা গিয়েছে বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুরসভার তরফে টালিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ৪৩ ধারায় তথ‌্য প্রযুক্তি আইনে ১৫৩এ, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৫(১) ধারায় মামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ সূত্রের খবর, ভুয়ো পোস্টটি যাতে সরিয়ে নেওয়া হয়, সেই কারণে ইতিমধ্যে লালবাজারের তরফে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যে দু’জনের প্রোফাইল থেকে পোস্ট করা হয়েছিল ভুয়ো ছবটি, তাদেরকে চিহ্নিত করে ই-মেল মারফত নোটিস পাঠানো হয়েছে। চারদিনের মধ্যে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *